সংক্ষিপ্ত
বাড়তি মেদ কমিয়ে রোগা হতে কে না চায়। সুন্দর হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন মেদ ঝড়ানো। বাড়তি মেদ সব সময় সৌন্দর্যের পথে বাঁধা সৃষ্টি করে। সে কারণে তারকারা সবার আগে মেদ কমানোর জন্য কঠিন পরিশ্রম করে চলেন। বর্তমানে সামনে এসেছে মেদ কমানোর এক নয়া পদ্ধতির কথা। শোনা যাচ্ছে, ওজেম্পিক ওষুধের কথা। প্রচলিত কথা অনুসার, বলিউড তারকারার ওজেম্পিক ওষুধ ব্যবহার করে দ্রুত গতিতে ওজন কমাচ্ছেন। করণ জোহর, রাম কাপুর থেকে বাদশা
এখন প্রশ্ন হল ওজেম্পিক কী। এই ওষুধে সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তজের রক্তে চিনির পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে। সাপ্তাহিক ইনজেশনের মাধ্যনে ও খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানো যায়। বর্তমানে আমাদের টলিউড নায়িকারাও এমন কিছু পিছিয়ে নেই। বলিউডেরে তারকাদের সৌন্দর্যের দিক দিতে সমানে টেক্কা দিচ্ছেন তারা। তবে টলিতাকারও কি রোগা হতে ওজেম্পিক ওষুধের ওপর ভরসা করেন? এই প্রসঙ্গে এক সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন এই তিন নায়িকা।
সংঙ্ঘশ্রী সিনহা বলেন, আমারা বাঙালিরা একটু ভিতু। হলিউডে বা বলিউডে ওজেম্পিকের প্রভাব থাকলেও, টলিউডে নেই। অন্তত আমি জানি না। ওজেম্পিক আদতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন ইনফল্যামেশন কম করে। খাওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। কিন্তু, রোদা হওয়ার জন্য আরও অনেক রকম ডায়েট আছে। আমার মতে, সৌন্দর্য সচেতনতার থেকে স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি।
অপরাজিতা আঢ্য বলেন, ওরে বাপ রে। আমি অ্যান্টিবায়োটিক পর্যন্ত নিই না, এমন ওষুধ নেব কেন? যেখানে এত সমস্ত ধরনের সাইড এফেক্টস আছে।
মধুমিতা সরকার বলেন, ওজেম্পিকের মতো ওষুধ সৌন্দর্য্যর খেয়াল রাখতে পারলেও, স্বাস্থ্যের নয়। সহজ উপায় ওজেম্পিক একেবারেই নয়। ডায়েট করুন, খাওয়াদাওয়া কিংবা লাইফস্টাইল নিয়ন্ত্রণ করুন। কিন্তু ওজন কমানো কারও জীবনে মূল লক্ষ্য হতে পারে না। ওজন কমানো কারওর জীবনে মূল লক্ষ্য হতে পারে না। ওজন কমান সুস্থ্য থাকার জন্য। সৌন্দর্য্যের জন্য নয়।