সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সকাল হতেই সকলে মুখিয়ে রয়েছেন অভিনেত্রীর খবর জানতে। তবে অপারেশনের ৭২ ঘন্টা পরেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে,এখনও জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। আপাতত চিকিৎসকের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ঐন্দ্রিলা সেন । মঙ্গলবার রাতেই আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তড়িঘড়ি করে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। ইন্ট্রা সেরিব্রাল হ্যামারেজ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। কেটে গিয়েছে ৭২ ঘন্টা। তবে এত ঘন্টা পরেও শারীরিক পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার সকাল হতেই সকলে মুখিয়ে রয়েছেন অভিনেত্রীর খবর জানতে। তবে অপারেশনের ৭২ ঘন্টা পরেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে,এখনও জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। আপাতত চিকিৎসকের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। মঙ্গলবার রাতেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। দুই ইউনিট প্যাকড রেড ব্লাড সেল দেওয়া হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। এখনও গভীর কোমায় রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর , ভেন্টিলেশনে ঐন্দ্রিলাকে ভেসোপ্রেসার দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০। পালস রেট প্রতি মিনিটে ১১২। একাধিক টেস্টও করা হয়েছে ঐন্দ্রিলার। কড়া কড়া ওষুধ চলছে অভিনেত্রীর। অস্ত্রোপচারের পর নিউরো আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে।
সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। টলিপাড়ার সকলেরই মন খারাপ ঐন্দ্রিলার জন্য। আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরআই করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। ইন্ট্রা সেরিব্রাল হ্যামারেজ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। আপাতত শরীরের এক দিকে কোনও সাড় নেই। শুধু চোখ নড়ছে, বাঁ হাত সামান্য নাড়াতে পারছেন। যেহেতু অভিনেত্রীর বয়স অনেকটাই কম, তাই আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকেরা। এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। সব সময়েই তার পাশে রয়েছেন সব্য়সাচী চৌধুরী। অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মাও মেয়ের জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন সকলকে। অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ভক্তরা। সকলেই অভিনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।এই লড়াই কবে শেষ হবে তারই অপেক্ষায় দিন গুনছেন টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রিয়জন তথা ভক্তরা। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও টেন্টস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। যা খুবই বিরল একটি রোগ। দীর্ঘ দেড় বছরের লড়াই করে ২০১৫ সালে ক্যান্সারে জয়ী হয়েছিলেন। ১৬ টি কেমোথেরাপি এবং ৩৩ টি রেডিয়েশেনের পর ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। অদম্য জেদ এবং বাঁচার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে ফের মারণ রোগকে হারিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ঐন্দ্রিলা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ক্যান্সারকে হারিয়ে যুদ্ধে জয়ী হন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-
সব্যসাচীর জন্মদিনের রাতেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ! হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ঐন্দ্রিলা
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ফের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ! 'ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট'
'ঐন্দ্রিলা, পাশে আছি, এবারেও জিতে ফিরে আয়!' সুদীপ্তা, রাহুল, দেবলীনা, অনীক দত্তের আর্তি