লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) জেমস বন্ড (James Bond) সিনেমার ভক্ত ছিলেন। আমেরিকার লাস ভেগাসে (Las Vegus) ক্যাসিনোয় স্লট মেশিন খেলা ছিল তাঁর অন্যতম প্রিয় বিনোদন।
প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) বাংলায় ১৮৫ টি গান গেয়েছেন। তবে শুধু গানে গানে নয়, বাংলার সঙ্গে লতার যোগ ছিল বাঙালি খাবার, তাঁতের শাড়ি থেকে বাংলা সাহিত্যের মাধ্যমেও।
চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। আর সুরসম্রাজ্ঞীকে নিয়ে এদিন মন খুললেন তামাম ভারতবাসীর প্রিয় গায়িকার অধিকাংশ গানের লিরিসিস্ট গুলজার। এদিন তিনি বলেছেন, 'লতাজি ছিলেন কণ্ঠের কিংবদন্তি। যতদিন ভারত গান গাইবে, ভারতের বুকে বাজবে বীণা। ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন।'
রবিবার সকাল ৮.১২ মিনিটে প্রয়াত হলেন লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তারপর নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হন। গতকাল দুপুরের পর থেকে অবস্থার অবনতি হয়। তারপর আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল শিল্পীকে। শেষে আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করনে। গত কয়েক দশক ধরে একের পর এক জনপ্রিয় গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন লতাজি। আজ জেনে নিন সুরের সরস্বতী লতা মঙ্গেশকরের জীবনের কিছু অজানা কাহিনি।
৬ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রয়াণ ঘটল 'অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ'-র গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar)। ১৯১৫ সালে এই একই দিনে জন্মেছিলেন গানটির রচয়িতা কবি প্রদীপ (Kavi Pradeep)।
হেমা থেকে লতা। নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া' আখ্যা পাওয়া লতা মঙ্গেশকর ভারতের ৩৬টি ভাষায় প্রায় ৩০ হাজারের মত গান গেয়েছেন। তাঁর গান শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। লতা মঙ্গেশকরের অজানা কথা লিখছেন, অনিরুদ্ধ সরকার।
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন লোপামুদ্রা। তিনি বলেন, "এত বড় মাপের একজন মানুষ ছিলেন। এতদিন আমাদের মধ্যেই ছিলেন। কিন্তু, আজ তিনি চলে গেলেন। তবে আমার বিশ্বাস যে লতা মঙ্গেশকর কখনও চলে যেতে পারেন না। কারণ শিল্পীর কোনও মৃত্যু হয় না।"
১৯৫৬ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে "প্রেম একবারই এসেছিল জীবনে" গানটি ছিল লতার গাওয়া প্রথম বাংলা গান। পরবর্তীতে তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
গোটা দেশবাসীকে কাঁদিয়ে গতকালই ইহলোক ছেড়ে পরলোকের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০০৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর তারা আলাদা হয়ে যান। কোনও অনুষ্ঠানেও তাদের একসঙ্গে থাকতে দেখা যেত না। অর্থনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।