সংক্ষিপ্ত
- বাসের মধ্যেই আস্ত একটি রেস্তরাঁ
- ৫০জনের বসে খাওয়ার ব্যসস্থা রয়েছে এখানে
- রেস্তরাঁর নাম 'ইন্দো কন্টি'
- এই পরিকল্পনা মেমারি থেকে বর্ধমান শহরে ছড়িয়ে দিতে চান পার্থ
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বদলেছে অনেক কিছুই। স্কুল থেকে শুরু করে অফিস, আদালত সব কিছুর সংজ্ঞাই বদলেছে। এখন এসবই হচ্ছে অনলাইনে। করোনা থাবা না বসালে হয়তো এগুলি কখনও ভাবাই যেত না। তার সঙ্গেই বদল এসেছে মানুষের চিন্তাভাবনায়। বহুদিনের সুপ্ত ইচ্ছেকে এই সময় বাস্তবের রূপ দিচ্ছেন অনেকেই। ঠিক যেমনটা করে দেখিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ নম্বর ব্লকের পাহাড়হাটির বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল।
আরও পড়ুন- প্রবল বর্ষণে ধ্বস পুরুলিয়ার পাহাড়ে, ভাঙল মন্দিরের সিঁড়ি, আতঙ্কে পূজারী থেকে স্থানীয়রা
ইচ্ছে থাকলে যে সব কিছুই সম্ভব তা একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন পার্থ। একটা বাসের মধ্যে রেস্তরাঁ বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাঁর এই রেস্তরাঁর কথা অনেকেই শুনেছেন। জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই পৌঁছে গিয়েছে এর জনপ্রিয়তা। আর তাই এই ভ্রাম্যমাণ রেস্তরাঁর খাবার চেখে দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই। এখানে ৫০ জনকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
অভিনব ভ্রাম্যমাণ রেস্তরাঁ এটি। একটি লরিকে বাসের রূপ দিয়ে তার ভেতরে তৈরি করেছেন কিচেন রুম। ছাদে ৫০জনের মতো বসে খাওয়ার জায়গা রয়েছে। তবে খাবার না খেলেও এই অভিনব রেস্তরাঁকে দেখে লোভ সামলাতে পারছেন না অনেকেই। আর সেই কারণে কৌতুহলবশত একবার তার কাছে গিয়ে বিষয়টা দেখে নিচ্ছেন তাঁরা। তারপর তার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফিও তুলছেন। অভিনব এই রেস্তরাঁর নাম 'ইন্দো কন্টি'।
আরও পড়ুন- 'ডেল্টা প্লাস'এর বিপদ, এখনই সাবধান না হলে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন বলল বিশেষজ্ঞরা
এই পরিকল্পনা মেমারি থেকে বর্ধমান শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে চান পার্থ। যে কোনও অনুষ্ঠানে কম করে ৪৫ আর বেশি হলে ৫০ জনকে খাওয়ানো যাবে এখানে। তবে বহুদিন আগেই এই ধরনের একটি রেস্তরাঁ খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন হোটেল ম্যানেজমেন্টের ছাত্র পার্থ। ২০১৩ সালে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করার পর তিনি চেন্নাই ও গোয়াতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি পাড়ি দেন দুবাই। ভালোই কাটছিল দিন। কিন্তু, ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। আটকে পড়েছিলেন দুবাইতে। কোনওরকমে দেশে ফেরেন। এরপরই একটু একটু করে তাঁর অনেকদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দেন।
পার্থ বলেন, "নিজের হোটেল করার সময় অভিনব কিছু করারই ইচ্ছে ছিল। লকডাউনে কাজ হারিয়ে এই ভাবনা আবার পেয়ে বসে আমাকে। সেই ভাবনাই আজ রূপ পেয়েছে চলমান এই রেস্তরাঁয়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, সরকারি নিয়মবিধি মেনে যেমন এই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ভ্রাম্যমাণ রেস্তরাঁ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবে। একইসঙ্গে প্রতিদিনের খাবারের থেকে কিছু অংশ দরিদ্র মানুষের জন্য তুলে রাখতে চাই। সব কিছু ঠিক থাকলে ব্যবসা যদি ভালো চলে তাহলে এই কাজ করা সম্ভব।"