সংক্ষিপ্ত

  • ফের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল ম্যান ইউ
  • ইউরোপা লিগের সেমিতে সেভিয়ার কাছে হার ব্রুনো ফার্নান্দেজদের
  • ২০১৬ এর পর প্রথমবার ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়া
  • হারের জন্য তরুণদের অনভিজ্ঞতা-কেই দায়ী করলেন ওলে গানার 

 নিজেদের দোষে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে সেভিয়ার কাছে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জানালেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গানার সলশায়ার। রবিবার রাতে ইউরোপা লিগের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল সদ্য সমাপ্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ৩ নং দল এবং লা লিগার ৩ নং দল। ম্যাচে বলের দখল সেভিয়া বেশি রাখলেও অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল ম্যান ইউ। সেভিয়ার চেয়ে অনেক বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে তারা। কিন্তু সেগুলি থেকে গোল না আসায় ম্যাচে জয়ও অধরা থেকে গিয়েছে। 

আরও পড়ুনঃকেনও সন্ধা ৭টা ২৯ মিনিটে অবসর ঘোষণা ধোনির, পেছনে রয়েছে নাকি এই মহাজাগতিক কারণ

ম্যাচ হেরে খুবই হতাশ ম্যান ইউ ম্যানেজার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন এই ২-১ ফলে হারে দলের প্রত্যেক ফুটবলার হতাশ। তার মতে এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলেন তারা। কিন্তু তরুণ ফুটবলারদের অনভিজ্ঞতায় গোল অধরা থেকে গিয়েছে। ম্যাচের শেষ দিকে যখন মরণ কামড় দেওয়া উচিত সেই সময় ফুটবলাররা দম হারিয়ে ফেলেছিলেন। ওলের মতে একাধিক সহজ সুযোগ নষ্টই তার একমাত্র কারণ। প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ম্যান ইউ। এসি মিলান থেকে আসা মিডফিল্ডার সুসো-র গোলে সমতায় ফিরেছিল সেভিয়া প্রথমার্ধেই। পরে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে যখন ম্যান ইউ ফুটবলাররা হতোদ্যম তখনই ৭৮ মিনিটে একটি প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যায় সেভিয়া। গোল করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা লিউক দি জং। 

আরও পড়ুনঃশুধু ব্যাট নয়, ধোনির হাতে কথা বলে বন্দুকও

আরও পড়ুনঃধোনির সেরা ১৫ ছবি, যা দেখে আপ্লুত হবেন আপনিও

এই জয়ের ফলে খুবই সন্তুষ্ট সেভিয়া কোচ জুলিয়েন লোপেতেগুই। রিয়াল মাদ্রিদে হতাশ হওয়ার পর চলতি মরশুমে সেভিয়ার দায়িত্ব নিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। লা লিগায় তিন নম্বরে শেষ করার পর ৪ বছর পর সেভিয়া-কে তুললেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে। ম্যাচ শেষে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য সেভিয়া গোলরক্ষক বনো-র প্রশংসা করে লোপেতেগুই জানিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এরকম পারফরম্যান্সই জেতা হারার পার্থক্য গড়ে দেয়। এখন তাদের পাখির চোখ ইউরোপা লিগ জয়। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতে চলেছে ইন্টার মিলান অথবা শাখতার দনেস্ক।