সংক্ষিপ্ত
- দীর্ঘ তিন মাস পর আজ থেকে মাঠে ফিরছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
- বিশ্বের অন্যান্য লিগের মতই দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে সব ম্য়াচ
- এছাড়াও প্লেয়ার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে একাধিক নিয়ম লাগু করা হয়েছে
- এই প্রথম প্রথা ভেঙে ইপিএলে প্রতি দল নিতে পারবে ৫টি করে পরিবর্ত
করোনা প্রকোপ কিছুটা কমতেই ও লকডাউন পরবর্তী সময়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিরেছে একের পর এক বিশ্বের জনপ্রিয় লিগগুলি। গত মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়ে বুন্দেশলিগা। ১১ জুন থেকে শুরু হয়েছে স্প্যানিশ লা লিগা। এবার প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ রাত থেকে বল গড়াতে চলেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। তবে অন্যান্য লিগের মতই প্লেয়ার, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ সহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। তাই কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফিরতে চলেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ফিফার গাইড লাইন মেনে, প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ ও ইংল্যান্ডের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচা করেই তৈরি হয়েছে ইপিএল শুরু স্বাস্থ্যবিধি।
আরও পড়ুনঃআজ থেকে শুরু ইপিএল,প্রথম দিনই জমজমাট দুই ম্যাচ,অপক্ষায় ফুটবল বিশ্ব
আরও পড়ুনঃফের গোল মেসির,লেগানেসকে ২-০ গোলে হারাল বার্সা
মারণ ভাইরাসের আরও সংক্রমণ রুখতে ইপিএলের সব ম্যাচেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে। বুন্দেশলিগা, লা লিগার মতো ইংল্যান্ডেও কোনও ম্যাচেই স্টেডিয়ামে বসে দর্শকেরা খেলা দেখতে পারবেন না। এছাড়াও যে নিয়মগুলি লাগু করা হয়েছে তাদেরর মধ্যে অন্যতম হল, খেলোয়াড়দের থুতু ফেলতে বা নাক পরিষ্কার করতে নিষেধ করা হয়েছে। রেফারি বা তাঁর সহকারীদের ঘিরে কিছু বলতে পারবেন না ফুটবলারেরা। ম্যানেজারেরা হাত মেলাবেন না। দুই অর্ধে একবার করে জল পান করার বিরতি দেওয়া হবে। আর ২৫ মিনিটের বেশি ওয়ার্মআপের ব্যবস্থা থাকবে না। সঙ্গে নিয়মিত মাঠ, গোলপোস্ট, কর্নার ফ্ল্যাগ ইত্যাদি জায়গা জীবাণুমুক্ত করা হবে। এমনকি, মাঠের মধ্যে বলবয়ও রাখা হচ্ছে না। ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা হবে। গোলের পরে ফুটবলারদেরও উৎসব করতে হবে যতটা সম্ভব নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রক্ষা করে। স্বাস্থ্যবিধি কোনও প্লেয়ার না মানলে তাকে হলুদ কার্ডও দেখাতে পারেন ম্যাচ রেফারি। এছাড়াও প্রথা ভেঙে এই প্রথম ইপিএলে কোনও দল নিতে পারবে পাঁচটি করে পরিবর্ত।
আরও পড়ুনঃটানা অষ্টমবার বুন্দেশলিগা জয় বায়ার্ন মিউনিখের
তবে ঘরে বসেই যাতে ফুটবলভক্তরা যথাসম্ভব মাঠের আমেজ পান, তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে। টিভি সম্প্রচারে আনা হচ্ছে নানা অভিনবত্ব। যেমন টানেলে ক্যামেরা থাকবে, ফুটবলারদের উৎসবের ভঙ্গি তুলে ধরার জন্যও থাকছে বিশেষ ক্যামেরা। টসের সময়ে অডিয়ো রাখা হচ্ছে, যাতে সরাসরি দর্শকেরা বৈঠকখানায় বসে শুনে নিতে পারেন, কারা জিতল এবং কী সিদ্ধান্ত নিলেন বিজয়ী অধিনায়ক। যে সমস্ত স্টেডিয়ামে জায়ান্ট স্ক্রিন আছে, সেখানে যে দু’টি ক্লাব খেলছে তাদের ১৬ জন করে সমর্থককে বেছে ম্যাচ চলাকালীন তাদের প্রতিক্রিয়া ভিডিয়োর মাধ্যমে দেখানো হবে। যাতে ফাঁকা স্টেডিয়ামে নিজেদের একেবারে নিঃসঙ্গ মনে না-করেন ফুটবলারেরা। তবে মাঠের কৃত্রিম আওয়াজ টিভি দর্শকেরা শুনতে চান কি না, তা তাঁদের উপর ছাড়া হবে। শব্দ, গান ও অন্য নানা আওয়াজের এই সংগ্রহ নেওয়া হচ্ছে মূলত ফিফা ভিডিয়ো গেমসের থেকে। ফলে দর্শকদের মনোরঞ্জনেরল কথা ভেবে সব দিক গুছিয়েই নামতে চলেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। সুষ্ঠুভাবে লিগ পরিচালনা করাই এক লক্ষ্য। আর অপেক্ষা ফের বল গড়ানোর।