গর্ভবতী মহিলাদের কি আম খাওয়া উচিত, জেনে নিন এই সময় আম খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর
- FB
- TW
- Linkdin
গর্ভাবস্থায় নারীরা তাঁদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি খুব যত্নবান হন। আর গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি আম খাওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মহিলাদের জানা উচিত গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবে কি না, জেনে নিন এই বিষয়ে। গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবে কি না, আজ আমরা এই বিষয়েই জানাবো।
হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যেতে পারে। মহিলারাও এর সেবন থেকে অনেক উপকার পেতে পারেন। ব্যাখ্যা করুন যে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, আমরা আপনাকে বলে রাখি যে আমের অভ্যন্তরে ভিটামিন 'এ', ভিটামিন 'সি, ভিটামিন 'বি৬' প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা সুস্থ মহিলাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করে।
জানা যায়, মোগল সম্রাট আকবর ভারতের শাহবাগের দাঁড়ভাঙায় এক লাখ আমের চারা রোপণ করে উপমহাদেশে প্রথম একটি উন্নত জাতের আম বাগান সৃষ্টি করেন। আমের আছে বাহারি নাম বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ। ফজলি, আশ্বিনা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, গোপালভোগ, মোহনভোগ, জিলাপিভোগ, লক্ষণভোগ, মিছরিভোগ, বোম্বাই ক্ষীরভোগ, বৃন্দাবনী, চন্দনী, হাজিডাঙ্গ, সিঁদুরা, গিরিয়াধারী, বউভুলানী, জামাইপছন্দ, বাদশভোগ, রানীভোগ, দুধসর, মিছরিকান্ত, বাতাসা, মধুচুসকি, রাজভোগ, মেহেরসাগর, কালীভোগ, সুন্দরী, গোলাপবাস, পানবোঁটা, দেলসাদ, কালপাহাড়সহ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়া যায় প্রায় ৩০০ জাতের আম। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আমের প্রায় কয়েকশ জাত রয়েছে।
আম ভ্রূণের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ফলগুলির মধ্যে একটি। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এর ভিতরে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ভাল নয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
তবে জানলে অবাক হবেন যে আমের ভিতরে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আগেই বলেছি আমের ভিতরে ভিটামিন 'বি৬' পাওয়া যায় যা শরীরে ভিটামিন 'বি৬'-এর ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
সাধারণ আমের প্রতি ১০০গ্রাম আমে ক্যালোরির মান ৬০ কিলোক্যালরি। টাটকা আমে দৈনিক ভ্যালু হিসেবে শুধুমাত্র ভিটামিন সি এবং ফলিক এসিড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে যার পরিমাণ যথাক্রমে ৪৪ শতাংশ এবং ১১শতাংশ।
গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার অপকারিতা
যদি মহিলারা অতিরিক্ত পরিমাণে আম খান, তবে তাদের মাথা ঘোরা, অস্থির মেজাজ, মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
তাই গর্ভাবস্থায় যে কোনও খাদ্য গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান। এই সময় প্রচুর সাবধাণতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত। ভালো থাকুন তবেই সন্তানও সুস্থ থাকবে।