- Home
- Lifestyle
- Health
- চরস, কোকেন, এমডিএমএ - কীভাবে সেবন করা হয় এই মাদকগুলি, কী কী ক্ষতি হয় শরীরের, দেখুন
চরস, কোকেন, এমডিএমএ - কীভাবে সেবন করা হয় এই মাদকগুলি, কী কী ক্ষতি হয় শরীরের, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
চরস তৈরিতে কোনও বাড়তি রাসায়নিক লাগে না। এর মূল উপকরণ গাঁজা গাছ। সেই গাছের রেসিন থেকেই তৈরি করা হয় চরস। এটি গাঁজারই একধরণের ঘনিভূত অবস্থা। ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই চরসের ব্যবহার রয়েছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম ও স্বাস্থ্যগত কারণে অনেকেই চরস ব্যবহার করে থাকেন। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকগুলির মধ্যে, এটিই অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর।
গাঁজার মতো করেই চরস সেবন করা হয়। ভারতে সাধুরা চরস সেবন করেন তামাকের সঙ্গে মিশিয়ে ছিলিমে ভরে। কোনওভাবে তামাকের সঙ্গে মিশিয়ে, আগুন জ্বালিয়ে সেই ধোঁয়া ফুসফুসে টেনে নিয়ে চরস সেবন করা হয়।
যে কোনও মাদকের মতোই চরসও সাময়িকভাবে সেবনকারীদের মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে চরস সেবন করলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, ফুসফুসে সংক্রমণ
- সারাক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্নতা
- ডিপ্রেশন এবং মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো
- টেস্টোস্টেরন উৎপাদন হ্রাস এবং যৌনক্ষমতা হ্রাস
- রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস
- ক্ষুধা বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধি
- কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি
কোকেন এমন একটি মাদক যার আসক্তি ভয়ঙ্কর। এই মাদক মানুষের সতর্কতা, মনোযোগ এবং শক্তি সাময়িকভাবে বাড়িয়ে দেয়। দক্ষিণ আমেরিকার কোকো গাছ থেকে এই মাদক উৎপাদিত হয়। বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে বাজারে এই মাদক পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি যে অবস্থায় কোকেন পাওয়া যায়, তা হল সূক্ষ্ম, সাদা পাউডারের মতো। সেই পাউডার জমিয়ে কঠিন স্ফটিক হিসাবেও তৈরি করা হয় কোকেন।
বেশিরভাগ কোকেন ব্যবহারকারীই নাক দিয়ে সাদা পাউডার রূপে থাকা কোকেন টেনে নেন। কেউ কেউ আবার সেই পাউডার তাদের মাড়িতে ঘষে বা জলে গুলে ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্তের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। আবার কোকেন স্ফটিক আকারে থাকলে তা গরম করে তার থেকে নিঃশৃত ধোঁয়া টেনে নিয়েও কেউ কেউ কোকেন সেবন করে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে কোকেন সেবন করতে থাকলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি দেখা দেয় -
- মাথাব্যথা
- খিঁচুনি
- হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক
- মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো
- যৌনক্ষমতা কমে যাওয়া
- ফুসফুসের ক্ষতি
- এইচআইভি বা হেপাটাইটিস বি
- অন্ত্রের ক্ষয়
- গন্ধের বোধ কমে যাওয়া
- নাক দিয়ে রক্ত পড়া,
- নাক দিয়ে জল পড়া
- শ্বাসকষ্ট
এটি একটি সিন্থেটিক ড্রাগ, অর্থাৎ যেটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গবেষণাগারে তৈরি করা হয়। এই মাদক মেজাজ এবং উপলব্ধির পরিবর্তন ঘটায়। আশেপাশের বস্তু এবং অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা থাকে না। এই মাদক গ্রহণ করলে সাময়িকভাবে শক্তি বৃদ্ধি, আনন্দ বৃদ্ধি, অনুভুতি বৃদ্ধি ঘটায় এবং সময়ের জ্ঞান নষ্ট করে দেয়। প্রাথমিকভাবে আমেরিকা-ইউরোপের নাইটক্লাবগুলিতে এবং ডান্স পার্টিতে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল এই মাদক।
এমডিএমএ সাধারণত ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারেই পাওয়া যায়। তবে কেউ কেউ সেই ট্যাবলেট গুঁড়ো করে জলে গুলে সেবন করে। কেউ কেউ আবার অ্যালকোহল বা গাঁজার মতো অন্য মাদকের সঙ্গেও এমডিএমএ সেবন করে।
- বিরক্তি বা খিটখিটে ভাব
- আবেগ এবং আগ্রাসনে অনিয়ন্ত্রণ
- বিষণ্ণতা
- ঘুমের সমস্যা
- উদ্বেগ
- স্মৃতি হারানো এবং মনোযোগের সমস্যা
- ক্ষুধা হ্রাস
- যৌনতায় আগ্রহ এবং আনন্দ হ্রাস