ঢিলে পোশাক পরে মর্নিং ওয়ার্ক করছেন? হতে পারে মারাত্মক বিপদ, রইল ১০টি ভুলের হদিশ
সুস্থ থাকতে ডাক্তাররা সব সময় অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই মতো অনেকে রোজ মর্নিং ওয়ার্ক করে থাকেন। মর্নিং করতে গিয়ে রোজ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটেন অনেকে। কিন্তু, এতে যে সব সময় লাভ হয় তা নয়। অনেকেই আবার ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ৩০ মিনিট করে হাঁটেন। কিন্তু, হাঁটলেই যে আপনি সুস্থ থাকবেন কিংবা আপনার ওজন কমে যাবে এমন নয়। সঠিক নিয়ম মেনে না হাঁটলে কোনও লাভ নেই। আজ তথ্য রইল মর্নিং ওয়ার্ক নিয়ে। হাঁটতে গিয়ে আমরা প্রায় সকলেই আমরা কয়েকটি ভুল করে থাকি। এই ভুলের জন্য পরিশ্রম করেও লাভ হয় না। দেখে নিন মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে এই কয়টি ভুল করছে না তো? হতে পারে বিপদ।
| Published : May 26 2022, 10:13 AM IST / Updated: May 26 2022, 10:27 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
মাথা নিচু করে হাঁটবেন না। হাঁটার সময় সোজা দিকে তাকান। মাথা নিচু করে হাঁটলে ঘাড়ে চাপ পড়বে। এতে শরীরে অন্য জটিল তৈরি হবে। এই কারণে ঘাড় ও কোমড়ে ব্যথা হতে পারে। এবার থেকে হাঁটার সময় এই কথা মাথায় রাখুন। সুস্থ থাকতে ও ওজন কমাতে হাঁটার ভঙ্গিমা ঠিক রাখুন।
সঠিক শ্বাস নিন হাঁটার সময়। শ্বাস প্রশ্বাস সঠিক রাখলে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে। এতে শরীরে সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকবে। সুস্থ থাকতে চাইলে এমন ভাবে হাঁটবেন। হাঁটতে গিয়ে হাঁপিয়ে গেলে ২ মিনিট বিরতি নিন। আবার হাঁটা শুরু করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। সঙ্গে ওজন হ্রাস পাবে।
হাঁটতে হাঁটতে গল্প করবেন না বা ফোনে কথা বলবেন না। অনেকেই এই ভুল করে থাকেন। দল করে হাঁটতে যান অনেকে সেখানে গিয়ে হাঁটার সঙ্গে গল্পও হয়। আবার অনেকের হাঁটতে হাঁটকে ফোনে কথা বলে থাকেন। এতে কোনও উপকার নেই। ওজন কমাতে চাইলে কিংবা সুস্থ থাকতে চাইলে কথা না বলে হাঁটুন।
প্রতিদিন একই পথে হাঁটবেন না। এই ভুলতে আমরা অনেকেই করে থাকি। মাঝে মধ্যে হাঁটার রাস্তা পরিবর্তন করুন। আর রোজ একটু একটু করে আপনার হাঁটার টার্গেট বাড়ান। প্রয়োজনে স্মার্ট ওয়াচ পরতে পারেন। কিংবা ফোনে কত স্টেপ হাঁটলেন তা রেকর্ড রাখতে পারেন। এতে হাঁটার প্রতি আপনার আগ্রহ তৈরি হবে। এই টোটকা বেশ উপকারী।
রোজ লম্বা রাস্তা হাঁটুন। ডাক্তার হাঁটতে বলেছে বলে ছাদে হাঁটা শুরু করলেন আর এতে বারে বারে পাক খেলে হচ্ছে, এমন হাঁটায় লাভ নেই। সোজা রাস্তা হাঁটলে তবেই উপকার পাবেন। ছাদ যদি লম্বা হয়, তাহলে হাঁটতে পারেন। বারে বারে পাক খেলে মাথা ঘুয়ে যায়। এই কথা মাথায় রেখে হাঁটতে শুরু করুন।
ধীরে ধীরে নয়, বরং দু হাত ছেড়ে দ্রুত হাঁটুন। তবেই কমবে ওজন। এই টোটকা মেনে চলুন রোজ। তা না হলে ওজন কমা কঠিন। তাই বলে দৌড়াবেন না। দ্রুত হাঁটলেই উপকার পাবেন। এবার থেকে রোজ মেনে চলুন এই টোটকা। তবেই সহজে ওজন কমবে। তবে, শরীরে কোনও জটিলতা থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে হাঁটবেন।
সঠিক জুতো পরে হাঁটুন। হাঁটতে হবে বলে হাই হিল পরে হাঁটতে শুরু করলেন এতে কোনও লাভ নেই। এবার থেকে সঠিক জুতো পরে হাঁটুন। তা না হলে পায়ের ক্ষতি হতে পারে। হাঁটার জন্য বিভিন্ন জুতো প্রস্তুত কারক সংস্থা নানা জুতো তৈরি করেছেন। নিজের পছন্দ মতো একটি কিনে নিন সবার আগে।
সঠিক পোশাক পরে হাঁটবেন। এমন পোশাক পরুন তা যেন খুব ঢিলে না হয়, তেমনই খুব টাইট না হয়। খুব টাইট পোশাক পরলে শরীরে রক্ত চলাচল ব্যহত হবে। এই টিপস মেনে চলুন রোজ। সঠিক পোশাক না পরলে শরীরে অন্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। হাঁটার সময় সঠিক পোশাক পরে সবার আগে দরকার।
রোজ অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটুন। হেঁটে ওজন কমাতে চাইলে অন্তত ৪০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটতে হবে। রোজ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। তা না হলে উপকার পাবেন না। অনেকেই ১০ মিনিট হেঁটে মনে করেন তিনি সুস্থ থাকবেন। এই ধারণা একেবারে ভুল। হাঁটতে গেলে রোজ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। তা না হলে উপকার পাবেন না।
ভরপেট খাবার খেয়ে হাঁটতে যাবেন না। তেমনই ক্ষুধার্থ অবস্থায় হাঁটতে যাবেন না। এই ভুল অনেকে করে থাকেন। হালকা খাবার খেয়ে হাঁটতে যান। তা না হলে বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা। এই কথা মাথায় রেখে হাঁটতে যান। মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে এই ভুল সকলেই করে থাকেন। তা না হতে পারে বিপদ।