- Home
- Lifestyle
- Health
- প্রবল গরমে হতে পারে হিট স্ট্রোক, খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি খাবার, কমবে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি
প্রবল গরমে হতে পারে হিট স্ট্রোক, খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি খাবার, কমবে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি
গরম মানেই একাধিক রোগ। পেটের সমস্যা, ডিহাইড্রেশন (Dehydration), ত্বকের (Skin) সমস্যা-সহ আরও কত কী। গরমের একটি মারাত্মক সমস্যা হল হিট স্ট্রোক (Heat Stroke)। আসলে গরমে মানুষের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক(Heat Stroke)। গরমে আমাদের শরীর ক্লান্ত লাগে। সারাক্ষণ ঘাম হওয়ার জন্য দেখা দেয় এই সমস্যা। ঘাম হলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এর থেকে দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।
- FB
- TW
- Linkdin
হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষ হল ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া। দেখা গিয়েছে শরীরের তারমাত্রা দ্রুত ১৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায় হিট স্টোক হলে। এর সঙ্গে যেমন ঘাম বন্ধ হয়। তেমনই ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়। সঙ্গে নিশ্বাস দ্রুত হয়। এমন লক্ষণ দেখলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। তা না হলে সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে।
মাথা ঝিমঝিম, নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, হ্যালুসিনেশন, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়ার হল হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। এমনকী, হিট স্ট্রোক হলে অনেককে জ্ঞানও হারাতে দেখা গিয়েছে। এমন লক্ষণ দেখলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। সঠিক সময় চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গরমে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে বদল আনুন খাদ্যতালিকায়। এমন কিছু খাবার রোজ খান, যা শরীরকে সুস্থ রাখবে। সঙ্গে হিট স্ট্রোকের সমস্যা থেরে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। রোজ খেতে পারেন কাঁচা পেঁয়াজ। এটি রক্তচলাচল ঠিক রাখে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। অনেকেই পেঁয়াজের গন্ধ পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে খওয়ার আগে একটি বাটিতে জল নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা নুন দিন। এই জলে ডুবিয়ে রাখলে গন্ধ চলে যাবে।
এই গরমে খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। বাদাম, কাজু ও চিনাবাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যআচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। সঙ্গে বাড়ায় আপনার এনার্জি। রোজ ড্রাই ফ্রুটস খেলে শরীরের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এতে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমবে। সহজে আপনি এই রোগে আক্রান্ত হবেন না।
গ্রীষ্মের ফলের বাজার ভরে যায় তরমুজ। সুমিষ্ট এই ফল শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ফলে থাকে একাধিক উপাদান শরীর ঠান্ডা রাখে। এতে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও খেতে পারেন শসা, আম। এই ফলগুলো শরীর হাইড্রেটেড করে। ফলে, পেটের সমস্যা, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শরীরের জন্য বেশ উপকারী এই ফল।
এই গরমে দিনে ২ থেকে ৩ বার গ্রিন টি খান। এটি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তচাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকী, শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে বেশ উপকারী গ্রিন টি। এই সময় দুধ চা খাওয়া শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। সেক্ষেত্রে রোগ গ্রিন টি খেলে উপকার পাবেন।
এই গরমে খেতে পারেন পুদিনার শরবত। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ থাকে। যা শরীরের জন্য উপকারী। রোজ পুদিনার শরবত খেলে মুক্তি পেতে পারেন হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা থেকে। তাই সুস্থ থাকতে বদল আনুন খাদ্যতালিকায়। তবেই সুস্বাস্থ্য লাভ করবেন।
রোজ পর্যাপ্ত জল খান। গরমে সুস্থ থাকতে সবার আগে দরকার পর্যাপ্ত জল খাওয়া। তা না হলে দেখা দেবে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। সঙ্গে হতে পারে হিট স্ট্রোক। তা প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় জল খান। এতে সুস্থ থাকবেন। সঙ্গে এড়িয়ে চলুন তেল মশলা জাতীয় খাবার। এই ধরনের খাবারের জন্য শরীরিক জটিলতা বেড়ে যায়।
গরমে ডাবের জল খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। ডাবের জমে এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা শরীর ঠান্ডা রাখে। সঙ্গে হজমের সমস্যা দূর করবে। এই সময় শরীর হাইড্রেটেড রাখা খুবই প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সব থেকে উপকারী হল ডাবের জল। রোজ এক গ্লাস করে ডাবর জল খাওয়া বেশ উপকারী। এতে শরীরের সব রকম ঘাটতি পূরণ হবে।
এই গরমে রোজ ১ বাটি করে টক দই খান। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ১২, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম থাকে এতে। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে। পাশপাশি হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। গরমে অনেকেই বদ হজমের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ দই খান। রোজ এক বাটি দই খেলে তা ডিটক্সের কাজ করে।