কথায় কথায় মন খারাপ, দুশ্চিন্তা-অবসাদে ঢুবে আছেন, মনের যত্নে এবার মিউজিক থেরাপি
- FB
- TW
- Linkdin
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে মিউজিক থেরাপি কি? মূলত কোন রোগীকে যখন সংগীত ও সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে তাঁর অসুখ বা রোগের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা করা হয়, তখন তাকে মিউজিক থেরাপি বলে।
যারা মারাত্মক মানসিক চাপ বা টেনশনে খুব কষ্ট পান, তারা যদি সঠিক মিউজিকে নিজেদের মগ্ন করতে পারেন, তবেই কেল্লা ফতে। এতে মনের ভিতর তৈরি হয় সাময়িক ভাললাগা। এটি এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে ও পেশীকে শিথিল করে রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনে।
মেজর ডিপ্রেশনেও মিউজিক থেরাপি দারুন কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট জাতীয় ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি মিউজিক থেরাপি করানো যায় তবে, আশাতীত ফল পাওয়া যায়।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে রোগীর হার্ট বা সেরিব্রাল স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মিউজিক থেরাপি এই হৃদয় রোগ বা সেরিব্রাল অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞানীদের মতে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের পূর্বে সঠিক মিউজিক শুনলে, ওই কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি গবেষকদের দাবি, গান শোনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহের সঙ্গে মনোযোগ ও দক্ষতাও বাড়ে।
চিকিৎসকদের মতে গর্ভাবস্থায় মিউজিক থেরাপি নেওয়া উচিৎ। এতে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সুন্দর হয়। এছাড়াও এতে শিশুর মনের উপর ভালো প্রভাব পড়ে।
মিউজিক থেরাপি মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। কোনও কারণে মন অতিরিক্ত অশান্ত হয়ে পড়লে মিউজিক থেরাপি স্বস্তি দিতে সক্ষম।
রাতে ঘুম না আসলে মিউজিক। অনেকেই আছেন যাঁরা রাতে ঘুমতে গেলে নানা বিষয় চিন্তা করেন। এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় অনিদ্রার সমস্যা। এই সমস্যা এড়াতেই ভালো গান হালকা করে শুনতে পারেন। দেখবেন কখন ঘুম এসে গেছে।