সংক্ষিপ্ত
এক গবেষণায় সাড়ে দশ হাজার পণ্যের বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে জানা গিয়েছে, ৬৮ শতাংশ খাবারে এমন উপাদান (Ingredients) থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
৩০-এর কোটায় পা দিতেই দেখা দিচ্ছে একের পর এক রোগ (Disease)। কেউ ভুগছেন পিরিয়ডসের (Periods) সমস্যায়, কারওবা দেখা দিচ্ছে থাইরয়েড (Thyroid) । এখন রোগের কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সে সুগার (Diabetes), প্রেসার (Pressure), থাইরয়েড, হার্টের রোগ-সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সকল রোগের প্রধান কারণ মানসিক চাপ আর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। এছাড়াও, আরও একটি সমস্যার জন্য শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধে। তা হল, খারাপ খাদ্যাভ্যাস। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ খাবারে বেশ নুন (Salt) ও বেশি চিনি (Sugar) থাকে। যা শরীরে নানারকম ক্ষতি করে।
গবেষণা বলছে ৬৮ শতাংশ খাবারে নুন, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এবং চ্যাপেল হিলের উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে দশ হাজার পণ্যের বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে জানা গিয়েছে, ৬৮ শতাংশ খাবারে এমন উপাদান (Ingredients) থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
সুস্থ থাকতে কী করবেন
খাবারে এমন উপাদান আছে যা শরীরে জন্য ক্ষতিকর, এ কথা জানার পর সবার আগে বদল করুন খাদ্য (Food) তালিকা। সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে চাইলে প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed Food) যতটা পারবেন কম খান। চাউ, মোমো, বার্গার, পিৎজা ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
এড়িয়ে চলুন রেস্তোরাঁর (Restaurant) খাবার। অনেকেই প্রায় রোজ রেস্তোরাঁর কোনও না কোনও আইটেম খান। এই অভ্যেস ত্যাগ করুন। রেস্তোরাঁর খাবার যতই মুখরোচক হোক না কেন, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
আরও পড়ুন: Sleep Problems: রাতে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়ুন, রইল ৫ মিনিটে ঘুম আসার অব্যর্থ টোটকা
খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ সবজি (Vegetables) ও ফল (Fruits)। রোজ অন্তত ১টা করে মরশুমি ফল খান। আর সবজি দিয়ে তৈরি স্টু খান। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
রোজ আট ঘন্টা ঘুমান। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। তবে, নিজের ইচ্ছে মতো আট ঘন্টা ঘুমালে হল না। রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যান। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
দিনে অন্তত ৪০ মিনিট এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন। এক্সারসাইজ করতে না পারলে হাঁটুন। তবে, অন্তত ৪০ মিনিট পরিশ্রম করবেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। তা না হলে, একাধিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কাজের ব্যস্ততার জন্য অধিকাংশেরই শরীরচর্চা করা হয় না। তাই নিয়ম করে এক্সারসাইজ করুন।