সংক্ষিপ্ত
আপনি কি জানেন যে তৈলাক্ত মাছ এবং হলুদের শক্তিশালী সংমিশ্রণে ব্যাথা বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে? অন্যদিকে, দইয়ের সাথে কলা খেলে আমাদের হাড় মজবুত হয় এবং এই মিশ্রণটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্যও ভালো।
আঙ্গুর এবং পেঁয়াজের মিশ্রণ আমাদের রক্তচাপের মাত্রা কমাতে পারে। জেনে অবাক হতে পারেন, তবে এই দাবি করেছেন খোদ প্রখ্যাত খাদ্য বিশেষজ্ঞ। পুষ্টিবিদ (diet expert) রব হবস (nutritionist Rob Hobbs) বেশ কয়েকটি খাদ্য সংমিশ্রণ (several food combinations) প্রকাশ করেছেন যা আপনার স্বাস্থ্যকে সুপার-বুস্ট (super-boost) করতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে এই সমস্ত খাবারের সংমিশ্রণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাই।
আপনি নিশ্চয়ই মাছের তরকারি অনেকবার খেয়েছেন। আপনি কি জানেন যে তৈলাক্ত মাছ এবং হলুদের শক্তিশালী সংমিশ্রণে ব্যাথা বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে? অন্যদিকে, দইয়ের সাথে কলা খেলে আমাদের হাড় মজবুত হয় এবং এই মিশ্রণটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্যও ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলপাই তেল টমেটো এবং পাপরিকায় পাওয়া ভিটামিন-এ শোষণ করতে সাহায্য করে, যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
কালো আঙ্গুরে ক্যাটেচিন নামক একটি পলিফেনল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি কমায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেঁয়াজের সঙ্গে এটি খেলে শুধু রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাই কম হয় না, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
বাদাম এবং জাম বিস্ময়কর কাজ করে শরীরের ওপর। জানেন কি যেখানে বাদাম দিয়ে জাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। অন্যদিকে রসুন এবং মধু অন্যান্য স্বাস্থ্য-বর্ধক খাদ্য সংমিশ্রণে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই খাবারের সংমিশ্রণের নিয়মিত সেবন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
দুই হাজার জন প্রাপ্তবয়স্কদের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রায় একুশ শতাংশ মানুষই ভিটামিন এবং খনিজগুলির উপকারিতা এবং শরীরে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। রব হবস বলেছেন যে দুটি স্বাস্থ্যকর জিনিসের সংমিশ্রণ শরীরে তাদের প্রভাবকে সুপারচার্জ করতে পারে। তিনি বলেন, শরীরের জন্য প্রতিটি জিনিসের নিজস্ব উপকারিতা থাকতে পারে। কিন্তু এ ধরনের জিনিস একসাথে মিশিয়ে তাদের শক্তি আরও বাড়ানো যায়।
আরও পড়ুন- অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচার ৫টি আশ্চর্যজনক উপায়, জেনে নিন এই সহজ ঘরোয়া উপায়গুলি
আরও পড়ুন- এই কারণের জন্যই বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের চুল ঝড়ে যায়, দেখে নিন আপনারটা মেলে কি না
আরও পড়ুন- চোখের পলকে হবে স্ট্রেচ মার্ক দূর, এভাবে কাজে লাগান অব্যর্থ দাওয়াই মধু
তবে শরীরের সুস্থতা নির্ভর করে আরও কয়েকটি নিয়মের ওপর
১) প্রতিদিন নিয়ম করে সাত ঘন্টা ঘুমতে হবে। ঘুমের বিকল্প কিছু হয় না। তাই বিশ্রামের জন্য ঘুম একান্ত জরুরী।
২) প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছুটা সময় প্রাণায়ম করুন, যোগ ব্যায়াম করুন। এতে শরীর ভালো থাকবে। ও দিনভর সতেজ থাকবে শরীর।
৩) রাস্তার খাবার বর্জন করুন। এতে শরীরের হজম ক্ষমতা নষ্ট হয়। সংক্রমক রোগের সম্ভাবণা বেড়ে ওঠে। তাই এই খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত।
৪) নির্দিষ্ট সময় পরিমাণ মতন খাবার খান। শরীরে অতিমেদও ভালো নয় যেমন তেমনই আবার প্রোটিনে অভাব দেখা দিলেও সমস্যা হবে শরীরে।
৫) প্রতিদিন পরিমাণ মতন জল পান করুন। দিনে অন্তত পক্ষে চার লিটার জল খাওয়া শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজন। তা অন্য কোনও পানীয় মিলিয়েও হতে পারে।