সংক্ষিপ্ত
প্রবল ব্যস্ত জীবন। আইটি সেক্টর থেকে শুরু করে দিনের সরকারি চাকরিজীবী- দিনের অনেকটা সময়ই কাটাতে হয় ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করে। আর তাতেই শুধু হাত নয় - অনেক সময়ই অনেককে ভুগতে দেখা যায় আঙুলের ব্যাথায়।
প্রবল ব্যস্ত জীবন। আইটি সেক্টর থেকে শুরু করে দিনের সরকারি চাকরিজীবী- দিনের অনেকটা সময়ই কাটাতে হয় ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করে। আর তাতেই শুধু হাত নয় - অনেক সময়ই অনেককে ভুগতে দেখা যায় আঙুলের ব্যাথায়। অনেকে আবার ব্যাথার চোটে আঙুল মুড়তে পারেন না। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ক্রমাগত টাইপ করার জন্য হাতে ব্যাথা বা আঙুলে ব্যাথা এখন একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে প্রতিকার পেতেই কিছু রিলাক্সেশন টিপস রইল- যা হাতের আঙুলের পাশাপাশি হাতকেও স্বস্তি দেবে, কমে যাবে ব্যাথা। পরের দিন কাজ করতে আর কোনও সমস্যা হবে না।
১, কাজের ফাঁকে হাতের আঙুলের ম্যাসাজ করুন।
২. কাজের ফাঁকে হাত বারবার মুঠো করুন আর খুলুন। তাতে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হবে।
৩. কবজি একবার বাম দিক থেকে ডান দিকে করুন। এবার পাঁচবার করার পর উল্টোদিকে পাঁচ বার করুন। দিনে তিন থেকে চারবার করুন।
৪. কাজের ফাঁকে আঙুল খোলা বন্ধ করুন।
৫. দিনের শেষে সময় পেল হাতের আঙুল উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তাতে ব্যাথা কমে যাবে।
৬. ভুলেও কিবোর্ডের ওপর জোরে চাপ দেবেন না। খেয়াল রাখবেন এখন কিবোর্ড খুবই উন্নত। তাই বেশি জোর দরকার হয় না।
৭. কাজের ফাঁকে বা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় হাতও ঘাড় বাম দিক থেকে ডানদিন আর ডান দিক থেকে বাম দিকে ঘোরালোও উপকার পাবেন। এভাবে পাঁচ বার করবেন।
৮. আসলে এক জায়গায় বসে অনেকক্ষণ কাজ করার জন্যই এই সমস্যাগুলি তৈরি হয়। তাই সময় পেলেই হাটাহাটি করতে পারেন।
৯. কাজের সুবিধের জন্য হাতের নখ খুব বড় করবেন না। তাহলে টাইপ করতে সমস্যা হতে পারে। আঙুলের ওপর চাপ বেশি পড়ে।
১০. মনে রাখবেন দুই হাতে সমান তালে টাইপ করতে হবে। তাহলে দুই হাতে সমান চাপ পড়বে। কাজের ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ডান হাতে বেশি টাইপ করি। তাই ডান হাত ও হাতের আঙুলই বেশি ব্যাথা করে।