সংক্ষিপ্ত
গরমের এই কয়েকটা দিনেই জাম পাওয়া যায়। তাই ডায়বেটিস দূর করতে কাজে লাগান এই সময়। জাম খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোগ দূরে থাকে। জাম ছাড়াও এর বীজ অর্থাৎ জামের ডালও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। জামের বীজের গুঁড়ো বানিয়ে খেতে হবে। এটি ডায়াবেটিস সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করে। এটা কিভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন জানেন?
গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে জাম পাওয়া যায়। জাম , এর বীজ, পাতা এবং বাকল আয়ুর্বেদের অনেক ওষুধে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। গরমের এই কয়েকটা দিনেই জাম পাওয়া যায়। তাই ডায়বেটিস দূর করতে কাজে লাগান এই সময়। জাম খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোগ দূরে থাকে। জাম ছাড়াও এর বীজ অর্থাৎ জামের ডালও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। জামের বীজের গুঁড়ো বানিয়ে খেতে হবে। এটি ডায়াবেটিস সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করে। এটা কিভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন জানেন?
ডায়াবেটিসের জন্য জাম ফলের বীজের গুঁড়ো
জামের বীজ শুকিয়ে গুঁড়া তৈরি করুন। এই গুঁড়ো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। জামের বীজে জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন নামক উপাদান থাকে যা রক্তে চিনি নিঃসরণের প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং এটি ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার খাওয়ার আগে এই গুঁড়ো খাওয়া উচিত।
আয়ুর্বেদশাস্ত্রের মতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জামের বীজ। জাম ফলের মত গুরুত্বপূর্ণ এই ফলের বীজও। জামের বীজে রয়েছে প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। জাম রয়েছে অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া জামে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী। ফলে রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জামের বীজ রাখা দরকার। এছাড়া জাম ও তার বীজে রয়েছে জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ যা রক্তে শর্করার পরিমান কমাতে সাহায্য করে।
কিভাবে জামের বীজ থেকে গুঁড়া তৈরি করবেন
১) প্রথমে জাম ধুয়ে ফল থেকে বীজ আলাদা করে নিন।
২) এবার বীজগুলোকে আবার ধুয়ে শুকনো কাপড়ে রেখে রোদে শুকিয়ে ৩-৪ দিন রাখুন।
৩) সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর যখন ওজন হালকা অনুভূত হবে, তখন তার উপর থেকে পাতলা খোসা ছাড়িয়ে একটি মিক্সারে বীজগুলিকে ভাল করে পিষে নিন।
৪) পূর্ণ উপকার পেতে, সকালে খালি পেটে দুধের সাথে খান।
৫) প্রতিদিন এই গুঁড়ো খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হবে না।
জাম এর উপকারিতা
১) প্রতিদিন জাম খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূরে থাকবে।
২) জাম গাছের ছালের ক্বাথ পান করলে পেট ব্যথা ও বদহজমের মতো সমস্যা হয় না।
৩) জাম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
৪) জাম খেলে শরীরে রক্তের মাত্রা বেড়ে যায় এবং রক্তের অভাব পূরণ হয়।
৫) পাথরের সমস্যা থাকলে জামের গুঁড়ো বানিয়ে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- এই সরকার বেকার যুবকদের প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা পর্যন্ত দেয়, এভাবে আবেদন করুন
আরও পড়ুন- গরমে পেট সুস্থ রাখতে মুগ-মসুর ডাল মিশিয়ে খান, জেনে নিন এর উপকারিতা
আরও পড়ুন- দুধের উপর ঘন মালাই পেতে চান, তবে কাজে লাগান এই দেশীয় টোটকা
ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে একটি খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাগে বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। আজকের সময়ে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আপনার ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যা আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণকে খুব বেশি প্রভাবিত করবে না। জাম প্রধানত গ্রীষ্মকালীন ফল। টক মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। কবিরাজী চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে। হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁতের সমস্যা-সহ বিভিন্ন রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়। জাম থেকে মদ ও ভিনিগার তৈরি করা যায়। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে।