সংক্ষিপ্ত
বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মবলিদানে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের ভারতবর্ষ। আগামী কাল পালিত হবে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতীয়ের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় ২০০ বছর ইরেজদের অধীনে থাকার পর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা পায় ভারত। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মবলিদানে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের ভারতবর্ষ। আগামী কাল পালিত হবে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতীয়ের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর। অনেক মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের সাক্ষী, যারা তাদের দেশ ও সহ নাগরিকদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই দিনটি আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদের, দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামগ্রিকভাবে জাতির অর্জনকে সম্মান জানায়। এই দিনটি প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে প্রায় ২০০ বছর ধরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার অধিন থেকে মুক্তির ও এক নতুন যুগের সূচনার কথা মনে করিয়ে দেয়।
স্বাধীনতা দিবসের নেপথ্যের কাহিনি-
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৫ অগস্ট ১৯৪৭ সালে ২০০ বছরেরও বেশি ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি হয়। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, ভগত সিং, চন্দ্র শেখর আজাদ, সুভাষ চন্দ্র বসু সহ আরও অনেক নেতা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁদের ত্যাগ ও লড়াই স্বাধীন করেছিল ভারত মাতাকে। স্বাধীন ভারতে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল প্রতিটি নাগরিককে।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য-
ভারতের স্বাধীনতা দিবস সারা দেশে একটি জাতীয় ছুটি হিসেবে পালন করা হয়। এটি আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের জন্ম হয়। দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেকে অনেক মানুষ প্রাণ হারায় এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট জওহরলালা নেহেরু প্রথম স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের ওপর ভারতের জাতীয় পতারা উত্তোলন করেন। জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এখনও প্রতি বছর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সর্বত্র পতাকা উত্তোলন হয়, মিষ্টি বিতরণ করা হয়। জাতীয় ছুটির দিন হওয়ায় বন্ধ থাকে পঠনপাঠন ও অফিস কাছারি।
আরও পড়ুন- পতাকা উত্তোলনের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন, জেনে নিন তেরঙ্গা উত্তোলনের নিয়ম-কানুন
আরও পড়ুন- আজ থেকেই এই অভ্যেসগুলি ত্যাগ করুন, স্ট্রেস মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে কমবে মৃত্যুর ঝুঁকি