সংক্ষিপ্ত

আদানি ইস্যুতে কমিটি গঠনে আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।

 

আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব মানতে কোনও আপত্তি নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। সোমবার আদানি মামলার শুনানিতে তেমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের জাতিয়াতির অভিযোগের পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে পতন ঘটে। যা ভারতীয় স্টক মার্কেটকেও প্রভাবিত করেছিল। আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব ছিল স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়াগুলিকে আরও বেশি শক্তিশালী করার জন্য একটি প্যালেন তৈরি করার। সোমবার মামলার শুনানি কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে তাদের প্যানেল গঠনের ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি নেই।

কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে প্যালেন গঠনে কোনও আপত্তি নেই। কেন্দ্র একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছে যে বাজার নিয়ন্ত্রণ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি ও অন্যান্য সংস্থা সম্পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি। অন্যদিকে আদালত কেন্দ্রকে কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাবের অনুমিত দিতে চায় বলেও জানিয়েছেন। তবে একটি সিলকরা খামেই কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাবের নির্দেশ দিয়েছে আদাল।

বুধবারের মধ্যেই এই নোট কেন্দ্রকে দিতে হবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট আদানি ইস্যুতে দায়ের হওয়া দুটি মামলার শুনানি একই সঙ্গে করছে। বিচারপতি পিএন নরসিমহা ও জেবি পারদিওয়ালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট শেয়ার বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় তার জন্য সেবি ও কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ চেয়েছিল। সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল স্টক মার্কেট এমন জায়গা যেখানে বড়লোকেদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও বিনিয়োগ করে। সম্প্রতি একটি প্রতিবেন অনুসারে আদানি স্টক রুটের কারণে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মোট ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ছিল।

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়াপর রীতিমত নড়ে গিয়েছিল ভারতীয় শেয়ার বাজার। আদানিদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এই অবস্থায় আদানিতা এফপিও ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে। গৌতম আদানি জানিয়েছিলেন তিনি বিনিয়োগকারী ও স্টকহোল্ডারদের জন্যই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ এদের স্বার্থ তাঁর কাছে সবার আগে। যাইহোক আদানি ইস্যুতে রীতিমত উত্তাল ভারতীয় রাজনীতি। রাহুল গান্ধী থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে আদানিইস্যুতে সরাসরি আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। যদিও বিজেপি এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তারা দেশের জনগণের ওপরই আস্থা রেখেছেন।

আইনজীবী বিশাল তিওয়ারির দায়ের করা মামলাটি হল জনস্বার্থ মামলাগুলির মধ্যে একটি। হিন্ডেনবার্গ গবেষণা প্রতিবেদনের তদন্ত ও তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা একটি কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশনা চেয়েছে যা ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃত্বে একাধিক অভিযোগ করেছে। শিল্পপতি গৌতম আদানি দ্বারা। অ্যাডভোকেট এম এল শর্মার দায়ের করা আরেকটি জনস্বার্থ মামলা মার্কিন ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের শর্ট-বিক্রেতা নাথান অ্যান্ডারসন এবং ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিরীহ বিনিয়োগকারীদের শোষণ এবং আদানি গ্রুপের স্টক মূল্যের "কৃত্রিম বিপর্যয়" করার অভিযোগে বিচার চেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

কাজল-অনুব্রতর বিবাদ মেটাতে বীরভূমের মাঠে নামবেন শতাব্দী রায়? তাঁর কথায় জল্পনা তুঙ্গে

KGF স্টার - কুম্বলে একফ্রেমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তাঁরা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬টি বই প্রকাশ বইমেলা, বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন প্রকাশকরা