সংক্ষিপ্ত
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জার্মানি সফরে যান পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ১৮ সেপ্টেম্বর ফেরার কথা ছিল তাঁর। তবে শেষ মুহূর্তে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্থগিত করতে হয় সফর। এরপরই শুরু হয় নানা রাজনৈতিক তরজা।
'মদ্যপ' অবস্থায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী! পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল পঞ্জাবের বিরোধীদল আকালি পার্টি। সম্প্রতি জার্মানি সফরে গিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। শেষ দিনে অসুস্থ বোধ করায় তাঁর পেছনো হয় তাঁর ফেরার দিন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আকালি দলের দাবি মদ্যপ অবস্থায় থাকার জন্যই জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জার্মানি সফরে যান পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ১৮ সেপ্টেম্বর ফেরার কথা ছিল তাঁর। তবে শেষ মুহূর্তে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্থগিত করতে হয় সফর। এরপরই শুরু হয় নানা রাজনৈতিক তরজা। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে লিখেছেন, "বড় লজ্জা! মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে।" যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। আপ মুখপাত্র মালবিন্দর সিং কাং বলেছেন, "এইসব সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্ট প্রোপাগান্ডা। মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ই ফিরেছেন। আসলে বিদেশ সফর থেকে ফিরে কার্যকরভাবে কিছু বিনিয়োগ পাচ্ছেন তিনি, এই কারণেই বিচলিত হয় অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।"
আরও পড়ুন - সিডনিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের লেখা গোপন চিঠি, খোলা যাবে না একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত
অপরদিকে আকালি দলের সিনিয়র নেতারা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে মদ্যপ অবস্থায় যাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে তাঁকে 'পঞ্জাবের লজ্জা' বলেও উল্লেখ করেছেন। বিমান সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,"আগত বিমান বিলম্বিত হওয়ায় ও একটি বিমান পরিবর্তনের কারণে, ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লি যাওয়ার বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছিল। তবে আমরা নির্দিষ্ট ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য সরবরাহ করি না।"
আরও পড়ুন - ব্রিটেনের রানীর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় যোগ ভারতের, লন্ডনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
আকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল বলেছেন, মিডিয়া রিপোর্ট ও সহ-যাত্রীদের বয়ান অনুযায়ী মদ্যপ অবস্থায় থাকার জন্য লুফথানসা ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে। যার জেরে ৪ ঘন্টা বিলম্বিত হয় বিমান। এমনকি আপের জাতীয় সম্মেলনেও উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। এই ঘটনাগুলি বিশ্বের পাঞ্জাবিদের বিব্রত ও লজ্জিত করেছে। আশ্চর্যজনকভাবে গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে নীরব পঞ্জাব সরকার।"
আরও পড়ুন - ছোট নির্বাচনে বড় জয় বিজেপির, শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূল দখল থেকে ছিনিয়ে নিস সমবায়