সংক্ষিপ্ত
বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে এবার তীব্র আপত্তি জানাল কংগ্রেস নেতার ছেলে অনিল অ্যান্টনি। তিনি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। তিনিও কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র India: The Modi Question (ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন) নিয়ে উত্তাল গোটা দেশে। এই অবস্থায় বিজেপি এই ছবির সম্প্রচার আটকাতে উদ্যোগী। তখন বিরোধী বাম, কংগ্রেস, তৃণমূলের মত দলগুলি এই ছবির সম্প্রচার চাইছে। এই অবস্থায় India: The Modi Question (ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন)এর নিয়ে বিবিসির তীব্র সমালোচনা করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি। তিনিও জাতীয় কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য। তিনি এই তথ্যচিত্রকে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিবিসির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর তীব্র মতপার্থক্য থাকলেও তিনি মনে করেছেন বিবিসির বল ব্রিটিশ রাষ্ট্রের স্পন্সর চ্যানেল। ভারতীয়দের প্রতি তাদের দীর্ঘ পক্ষপাতের ইতিহাস রয়েছে। জ্যাক স্ট্র, এই কূটনীতিক হলেব ইরাক যুদ্ধের মূল পরিকল্পনাকারী। এরা মূলত ভারতীয়দের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায়। এটি তারই একটি বিপজ্জনক নজির।
সম্প্রতি এই তথ্যচিত্র নিয়ে এই দেশেও তীব্র জটিলতা তৈরি হয়েছে। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বিবিসির এই তথ্যচিত্রের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। টুইটার ও ইউটিউেবর লিঙ্কগুলিকে ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্যচিত্রকে বিভ্রান্তিকর, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর বিষয়বস্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি এই তথ্যচিত্রে ঔপনিবেশিক মতাদর্শ প্রতিফলিত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও বিবিসির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যথেষ্ট গবেষণা করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এডিটোরিয়াল বিষয়বস্তুর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেই আসল তথ্য তুলে ধরার হয়েছে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেও কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মত বিরোধী দলগুলি সেন্সরশিপের জন্য মোদী সরকারের সমালোচনা করলেও দেশের প্রায় ৩০২ জন বিদগ্ধ মানুষ বিবিসির তথ্যচিত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছে চিঠি লিখেছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে এই তথ্যচিত্রের মাধ্যেমে দেশের নেতার ভাবমূর্তি খুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অনিল দেও সিং, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব এল সি গয়াল, প্রাক্তন বিদেশ সচিব শশাঙ্ক। এছাড়াও প্রাক্তন RAW প্রধান সঞ্জীব ত্রিপাঠি এবং প্রাক্তন NIA ডিরেক্টর যোগেশ চন্দর মোদি বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন৷
বিবিসির তৈরি করা তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার বিষয় নিয়ে ভারতীয় নেতা নরেন্দ্র মোদী অবগত ছিলেন। বিবিসি দাবি করেছে, এই সিরিজটি তৈরির সময় তাদের কর্মীরা বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছেছিল। বিস্তৃতি তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ঘটনার সাক্ষীতদের সঙ্গে কথা বলেছিল। পাশাপাশি তথ্যচিত্র তৈরির সময় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। বিবিসি আরও দাবি করেছেন তথ্যচিত্রে বিভিন্ন মন্তব্য আর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যচিত্রে বিজেপির নেতাকর্মীদেরও বয়ান রয়েছে। বিবিসির মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ভারত সরকারের কাছেও একাধিক বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আরও পড়ুনঃ
'জনপ্রিয়তার জন্যই দ্বীপের নাম পরিবর্তন', রেডরোড থেকে মমতার নিশানা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
আবারও বন্দুকবাজের হামলা ক্যালিফোর্নিয়ায়, পৃথক দুটি গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত ৭
মোদীকে নিয়ে BBC-র তথ্যচিত্র দেখান যাবে না বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, বিবৃতি জারি JNUর