সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। সূত্রের খবর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে আগামী ২৮ অগাস্ট। ভার্চুয়াল বৈঠকেই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আদৌ কি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হবে? প্রশ্নটা আবাও উঠে গেল। কারণ ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা এখনও মনে করছেন রাহুল গান্ধী তাঁর মত পরিবর্তন করবেন। আর দলের কর্মীসমর্থকরা তাঁর হাতে আবারও দায়িত্ব তুলে দেবেন। আর তিনি দীপাবলির দিন অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর দলের দায়িত্ব নেবেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা তেমনই জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আগেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। সূত্রের খবর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে আগামী ২৮ অগাস্ট। ভার্চুয়াল বৈঠকেই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতি নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচী ঘোষণা করা হবে।
আগেই সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে ২১ অগাস্ট। আর ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলের প্রধান নির্বাচন করা হবে। কিন্তু ঘোষণাই সার। এই সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। তবে আসন্ন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা।
ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধিকাংশ সদস্য। কিন্তু তিনি এখনও জানিয়েছেন তিনি সভাপতি হতে ইচ্ছুক নন। দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে হিসেবেই কাজ করতে চান। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও দলের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক নন। আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধানের পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন সনিয়া। তিন গান্ধীই প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে নারাজ। এই অবস্থায় নেহেরু গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকেই দলের প্রধান খুঁজতে হবে। কিন্তু তাতে বাধ সাধছেন দলেরই একটা অংশ। অনেকেই চাইছেন রাহুল দলের দায়িত্ব নিক।
সম্প্রতি অশোক গেহলট রাহুল গান্ধীকে দলের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিক আনন্দ শর্মা যিনি জি-২৩ দলের সদস্য তিনি বলেছেন আমরা ২০১৮ সালে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত করেছি, কিন্তু তিনিই পদত্যাগ করেছিলেন, আমরা তাকে পদত্যাগ করতে বলিনি। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে নেহেরু-গান্ধী পরিবার অবিচ্ছেদ্য থাকবে। কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সম্মিলিত চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন'। যা রাহুলের প্রধানের পদে ফেলারার পথ প্রসস্থ করছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তিনি আরও বলেছেন নেহেরু গান্ধী পরিবার কংগ্রেসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। এবার শতাব্দী প্রাচীন দলটির কিছু অন্তর্ভুক্তমূলক ও যৌথ চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশে দলের পদ ছাড়ার পর এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা আনন্দ শর্মা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, নেহেরু গান্ধী পরিবারকে সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে কংগ্রেসকে।
৩০ হাজার টাকার বিনিয়ম ভারতে হামলার ছক, জঙ্গি পাঠিয়েছিল পাক কর্নেল- দাবি ভারতীয় সেনার
'ভুল করে পাকিস্তানে ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র', ঘটনার ৬ মাস পরে সাসপেন্ড ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিন আধিকারিক
কৌশিকী অমাবস্যার প্রচারে তারাপীঠ যেন 'বদলাপুর', তৃণমূলের প্রচারে গায়েব অনুব্রত মণ্ডল