সংক্ষিপ্ত

রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় ফের বেজে দেশ জুড়ে বাজবে থালা, শাঁখ ইত্যাদি

জনতা কার্ফিউ-এর পর আবার

ই-কমার্স সংস্থাগুলির করোনাভাইরাস লকডাউনের গাইডলাইন আবার বদলানো হল

অ-অপরিহার্য জিনিস বিক্রয় চলবে না

 

লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিল থেকে ই-কমার্স সংস্থাগুলি থেকে অপরিহার্য নয় এমন পণ্যের অনলাইন বিক্রয়-ও শুরু করার কথা জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু, দেশের খুচরো ব্যবসায়ীদের ফেডারেশনের তীব্র আপত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার ই-কমার্স সংস্থাগুলির পণ্যবিক্রয় নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল। আর এতেই দারুণ আনন্দিত খুচরো ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় দেশের সমস্ত খুচরা ব্যবসায়ীরা থালা, শাঁখ ইত্যাদি বাজাবেন।

এর আগেও অবশ্য, খুচরো ব্যবসায়ীরা রবিবার রাতে একই কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তবে তা ছিল ২০ এপ্রিল থেকে অনলাইন সংস্থাগুলিকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির অনুমতি দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ। এবার সন্ধ্যা সাতটাতেই থালা, শাঁখ বাজানো হবে, তবে প্রতিবাদ করতে নয় বরং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য। ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেড চেম্বার্স-এর জাতীয় সম্পাদক ভি কে বনসল জানিয়েছেন, 'সরকারের সিদ্ধান্ত বদলের ফলে ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমেও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রয় ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকল। এটা ফেডারেশনের লড়াইয়ের ফল। এখন দেশের সমস্ত খুচরো ব্যবসায়ীরা সরকারকে কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা জানাতে, সন্ধ্যা সাতটায় থালা, ঘণ্টা এবং শঙ্খ বাজাবে'।

ভি কে বনসল আরও জানিয়েছেন গ্রীষ্মের মরসুমকে সামনে রেখে দেশের খুচরো বিক্রেতারা এসি, কুলার, ফ্রিজ, ফ্যান, রেডিমেড পোশাক, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য বিভিন্ন পণ্য গুদামে স্টক করে রেখেছেন। আচমকা, লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় সেইসব কিছুই বিক্রি করা যাচ্ছে না। এবার, লকডাউনের মধ্যেই যদি সেই পণ্যগুলি ই-কমার্স সংস্থাগুলি থেকে গ্রাহকরা পেয়ে যান, তাহলে লকডাউনের পর খুচরো ব্যবসায়ীদের থেকে আর কে পণ্য কিনবে?

কোভিড-১৯ হটস্পটে হানা রহস্যময় গাড়ির, ছড়িয়ে দেওয়া হল হাজার হাজার টাকা

করোনা-কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যৌন কেলেঙ্কারি, রোগীরাই মিলিত হচ্ছেন একে অপরের সঙ্গে

এবার আশঙ্কা আফ্রিকাকে ঘিরে, করোনার প্রকোপে ছাড়খাড় হতে পারে গোটা মহাদেশ

এই যুক্তিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সামনে রেখেছিল খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন। এদিন সকালে এই বিষয় নিয়ে মন্ত্রক ফের পর্যালোচনায় বসে। তারপরই আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতেই জনতা বনধের পর আবার সারা দেশে বেজে উঠতে চলেছে থালা, কাসর, শঙ্খ, ঘন্টা।