Divorce Case: বিবাহবিচ্ছেদ হলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা খোরপোষ দাবি করেন। অনেক ক্ষেত্রেই খোরপোষের দাবি অন্যায্য। এবার এ বিষয়েই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
KNOW
Delhi High Court: কোনও মহিলা যদি আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হন, তাহলে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের সময় খোরপোষ (Alimony) দাবি করতে পারেন না। এক মামলায় এমনই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন পারিবারিক আদালত রায় দেয়, সংশ্লিষ্ট মহিলার দাবি অনুযায়ী খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া যাবে না। এরপর ওই মহিলা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দিল্লি হাইকোর্ট পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রাখল। বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল (Justice Anil Kshetarpal) ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের (Justice Harish Vaidyanathan Shankar) ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তির সত্যিই আর্থিক প্রয়োজন থাকে, একমাত্র তাহলেই তাঁকে খোরপোষ দেওয়ার আইন রয়েছে। কেউ যদি আর্থিকভাবে স্বাধীন হন, তাহলে তাঁকে খোরপোষ দেওয়া যাবে না। খোরপোষ আর্থিকভাবে স্বনির্ভর কোনও ব্যক্তির ধনসম্পদ বৃদ্ধি করার মাধ্যম নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচারের উপায়।
খোরপোষ সংক্রান্ত আইন কী বলছে?
এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, ‘হিন্দু বিবাহ আইনের (Hindu Marriage Act) ২৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যিনি খোরপোষ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন. তিনি যদি আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ও স্বাধীন হন, তাহলে খোরপোষের আর্জি মঞ্জুর হবে না। খোরপোষের আবেদন ঠিকমতো যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনসঙ্গতভাবে ব্যবস্থা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের আর্থিক ক্ষমতা বিচার করতে হবে। যিনি খোরপোষ চেয়ে আবেদন করছেন, তিনি যে সত্যিই আর্থিকভাবে স্বনির্ভর নন, সেই সংক্রান্ত কোনও নথি পেশ করতে পারছেন কি না, তাও বিবেচনা করতে হবে।’
খোরপোষ দাবি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মীর!
যে মহিলা খোরপোষের দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্র্যাফিক সার্ভিসের (Indian Railway Traffic Service) গ্রুপ এ অফিসার। তাঁর প্রাক্তন স্বামী আইনজীবী। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের ১৪ মাসের মধ্যে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তাঁর স্বামী অভিযোগ করেন, মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করছিলেন স্ত্রী। গালিগালাজ করা, অপমানজনক বার্তা পাঠানো, দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, পেশাগত ক্ষেত্রে এবং সামাজিক ক্ষেত্রে অপদস্থ করার অভিযোগও আনেন এই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অত্যাচারের অভিযোগ আনলেও, আদালত সে কথা মানতে চায়নি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


