দেশজুড়ে ইন্ডিগো-র উড়ান পরিষেবায় বিপর্যয়, সিইও-কে শোকজ নোটিস কেন্দ্রের
IndiGo CEO Update News: সপ্তাহভর দেশজুড়ে বিমান বিপর্যয়ে এবার শো-কজ নোটিসের মুখে ইন্ডিগোর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। শোকজ নোটিস কেন্দ্রের। কী বলছে কর্তৃপক্ষ? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

শোকজের মুখে ইন্ডিগো--র সিইও
ইন্ডিগোতে ধারাবাহিকভাবে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের জেরে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলার পর বিমান নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) সংস্থাকে শোকজ নোটিশ জারি করেছে। সূত্রের খবর, বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এয়ারলাইনের শীর্ষ কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও সতর্কবার্তা দিয়েছে DGCA।
কী বলছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ?
শনিবার ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে একটি বড় ধরনের বিপর্য য়ের দিন। না কোনও দুর্ঘটনা নয়। এয়ার লাইন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৪০০ টিরও বেশি ডোমেস্টিক ফ্লাইট বাতিল করে। দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা নেটওয়ার্কে এই আকস্মিক বিপর্যয় লক্ষ লক্ষ যাত্রীর ঝঞ্জাট আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
কেন এই অচলাবস্থা?
গত কয়েকদিন ধরে ইন্ডিগোর অপারেশনাল সমস্যা নীরবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এয়ারলাইনটি প্রতিদিন ২,৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং ৪০০ টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এত বড় নেটওয়ার্কে পাইলট সমস্যার প্রভাব একটি চেইন রিঅ্যাকশনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে যে পাইলটের অভাব, পরিকল্পনার ত্রুটি এবং হঠাৎ অপারেশনাল চাপ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুরো সিস্টেমকে থামিয় দেয়। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথম দিন থেকেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, কিন্তু বিমান সংস্থাটি যাত্রীদের সঠিক তথ্য সময় মতো দিতে ব্যর্থ হয়েছিল।
বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু বলেছেন যে পরিস্থিতি "সমাধানের দ্বারপ্রান্তে"। তাঁর মতে, দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো বিমানবন্দরগুলিতে জমে থাকা বিমানের জট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আজ রাতের মধ্যে অন্যান্য বিমানবন্দরেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ইন্ডিগো আগামীকাল সীমিত ধারণক্ষমতায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে। পূর্ণ ধারণক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে কয়েক দিন সময় লাগবে, তবে আজ থেকে যাত্রীরা স্বস্তির অভিজ্ঞতা লাভের আশা করতে পারেন।
সমস্যায় যাত্রীরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সমস্যাটি কেবল একটি অপারেশনাল সমস্যা ছিল না, বরং যোগাযোগের ব্যর্থতাও ছিল। দুর্বল পরিকল্পনা এবং সময়োপযোগী তথ্য যাত্রীদের কাছে পৌঁছানো, যা একটি ছোটখাটো অপারেশনাল সমস্যাকে একটি বড় জাতীয় সমস্যায় পরিণত করেছে।

