সংক্ষিপ্ত
অখিলেশের দাবি বিজেপি ও যোগী আদিত্যনাথ মানুষকে মিথ্যে কথা বলেছে। গেরুয়া শিবির ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে নিয়ে ভাবেন না।
এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকারে বিস্ফোরক সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। বুধবার তিনি বলেন বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে উত্তরপ্রদেশ থেকে। যে প্রতিশ্রুতি বিজেপি দিয়েছিল, তার কোনও কিছুই পূর্ণ করতে পারেনি এই দল। তাই কথা মারপ্যাঁচে মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে চাইছে।
এদিন অখিলেশ বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলছেন উত্তরপ্রদেশ কেরলের থেকে এগিয়ে। কীভাবে বলছেন সেটা। কেরলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা সবকিছুই ভালো। সেই পরিকাঠামো উত্তরপ্রদেশের কোথায়। গত পাঁচ বছরে বিজেপির কাছ থেকে মানুষ কি পেয়েছেন, মানুষের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূণ্য। তাই এবারের নির্বাচনের সমীক্ষাতে বিজেপি সব দিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপাল বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করতেই ফের আক্রমণে ফিরহাদ, উঠল রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গও
অখিলেশের দাবি বিজেপি ও যোগী আদিত্যনাথ মানুষকে মিথ্যে কথা বলেছে। গেরুয়া শিবির ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে নিয়ে ভাবেন না। তাই ধর্ম, পোশাক এসব নিয়ে ধুয়ো তোলেন। বোমা ফাটিয়ে অখিলেশ বলেন মুখ্যমন্ত্রী জানেনই না কার সঙ্গে তুলনা করতে হবে। রাজ্যে চাকরি নেই, উন্নয়ন নেই, কোনও বিনিয়োগ নেই। রাজ্য কৃষি ক্ষেত্রে পিছিয়ে, আখচাষীদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও নীতি নেই এই রাজ্যের সরকারের। তাহলে কীভাবে উত্তরপ্রদেশকে দেশের অন্যতম প্রগতিশীল রাজ্য বলে ঘোষণা করেন যোগী, প্রশ্ন তোলেন অখিলেশ।
এদিন যোগী শিবিরের উপর তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে অখিলেশকে বলতে শোনা যায়, “প্রথম দফার ভোট থেকেই স্পষ্ট যে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হবে।” একইসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন “ বর্তমান অবস্থা বুঝে বিজেপির লোকেরা এখন তো ঘরে ঘরে প্রচারও বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, লোকজন তাদের খালি সিলিন্ডার দেখাচ্ছে। অপরাধের পরিসংখ্যান নিজেই বলছে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির আসল সত্যি। এই নির্বাচন বিজেপি বনাম ভ্রাতৃত্বের। এবারের নির্বাচনে যুব, কৃষক, বেকার সমস্যা থেকে বিজেপি মুখ ঘুরিয়ে নিয়ছে। তারা কৈরানা, মুজাফফরনগরকে ইস্যু করছিল। কিন্তু কিছুই কাজ হয়নি।”
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে অখিলেশ আরও বলেন, বিজেপির লোকদের জিজ্ঞাসা করুন কিভাবে তারা তাদের ইস্তেতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। তারা আগের প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হয়নি, যুবকদের কর্মসংস্থানও হয়নি। বিজেপির লোকেরা এই প্রশ্নের উত্তর দিন, তারপর বাড়তি কথা বলুন। বিজেপি নেতারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত সব নেতারা যাতে ধরা না পড়ে সেজন্য একযোগে মিথ্যা কথা বলছেন, কিন্তু এখন জনগণ সব বুঝে গেছে।”
"