সংক্ষিপ্ত
আমেরিকা থেকে যে ৩০টি হান্টার কিলার ড্রোন কেনা হচ্ছে, সেটি নামেই ড্রোন। আদপে আকারে আয়তনে দেখতে আস্ত যুদ্ধ বিমানের মতোই এই ড্রোনগুলি।
প্রতিরক্ষা খাতে বড়সড় সিদ্ধান্ত। ভারত (India) বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রিডেটর ড্রোন (Predator Drone) কিনতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। মোট ৩০টি ড্রোন (30 multi-mission armed Predator drones) কেনা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে হতে চলা এই ড্রোন-ডিলকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে শীঘ্রই অনুমোদন দেওয়া হবে।
আমেরিকা থেকে যে ৩০টি হান্টার কিলার ড্রোন কেনা হচ্ছে, সেটি নামেই ড্রোন। আদপে আকারে আয়তনে দেখতে আস্ত যুদ্ধ বিমানের মতোই এই ড্রোনগুলি। অত্যাধুনিক এই ড্রোন আকাশে উড়ান দিয়ে সমুদ্রের অন্দরে থাকা সাবমেরিন চিহ্নিত করতে পারবে। যুদ্ধজাহাজের গতিবিধির উপর রাখতে পারবে লাগাতার নজরদারি। একইসঙ্গে শত্রুপক্ষের র্যাডার ও মিসাইল সাইট চিহ্নিত করে দ্রুত সেই বার্তা পাঠাবে নৌসেনা, আর্মি কিংবা বায়ুসেনার কন্ট্রোল রুমে। এয়ার টু সারফেস প্রিসিশন স্ট্রাইকে সক্ষম এই ড্রোন।
এই প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে বিপুল অঙ্কের অর্থ লগ্নি। ভারত সরকারের ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে ৩০টি ড্রোন কিনতে। অর্থাৎ প্রতিটি ড্রোনের দাম পড়ছে কমবেশি ৭০০ কোটি টাকা। MQ-9B সশস্ত্র ড্রোনগুলি কেনার প্রস্তাব পাশ হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। এই ড্রোনগুলি আকাশ থেকে স্থল-ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ক্ষমতা রাখে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কাউন্সিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এরপরেই এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে পেশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে এটি পেশ করবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। বিশেষ সূত্রের খবর চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে এই ডিল বাস্তবায়িত করা হবে।
Imran Khan-সেনা-সরকারের মাঝে পিষছেন ইমরান,পদত্যাগ করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
ভারতীয় নৌবাহিনীর ভাইস চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল এই চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রধানত চিন ও পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত। পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত তথা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন করা হবে এই ড্রোনগুলি। এয়ারক্র্যাফটের মতো বৃহৎ হওয়ায় এই বিশেষ ড্রোনের অন্দরে থাকবে অস্ত্রসম্ভার বহনের বিশেষ স্থান।
বোমা নিক্ষেপের পর শত্রুঘাঁটিতে কতটা ক্ষতি হল সেই ছবি ও ভিডিও তুলতে সক্ষম হবে এই বিশেষ ড্রোন। প্রায় ২ টন অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। লেজার গাইডেড বোমা, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক এবং অ্যান্টি শিপ মিসাইল বহন করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রিডেটর ড্রোনের সমকক্ষ সামরিক উপকরণ খুব বেশি নেই বিশ্বে।