সংক্ষিপ্ত
টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং, দেশদ্রোহীদের মদত দিচ্ছে ইনফোসিস। বিস্ফোরক অভিযোগ করা হল আরএসএস-এর সাপ্তাহিক পত্রিকা 'পাঞ্চজন্য'-এ।
ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ইনফোসিস! নকশাল, বামপন্থী এবং টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-কে মদত দিচ্ছে তারা! ভারতের অন্যতম সেরা আইটি সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস।
আরএসএস-র সাপ্তাহিক পত্রিকা 'পাঞ্চজন্য'-র সর্বশেষ সংস্করণে, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট সংস্থা ইনফোসিসের বিরুদ্ধে 'দেশদ্রোহী' শক্তির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইনফোসিসের তৈরি নতুন ভারতের আয়কর দফতরের ই-ফাইলিং পোর্টালে ত্রুটি থাকার কারণেই আরএসএস-র পক্ষ থেকে এই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। 'পাঞ্চজন্য'-র নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, ত্রুটি-বিচ্যূতি যা কিছু তা সবই সংস্থার ইচ্ছাকৃত। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, 'বিদেশী ক্লায়েন্টদের জন্যও কি ইনফোসিস একই ধরনের জঘন্য পরিষেবা দেবে'?
"
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ইনফোসিস আয়কর বিভাগের ওই ই-ফাইলিং পোর্টালটি তৈরির বরাত পেয়েছিল। চলতি বছরের ৭ জুন তারিখে ওয়েবসাইটটি অনলাইনে গিয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে পোর্টালটিতে। বারবার সমস্যায় পড়েছেন করদাতারা। তারপর, গত অগাস্ট মাসে অনলাইন স্পেস থেকে গায়েবই হয়ে যায় ওয়েবসাইটটি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ইনফোসিসের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা সলিল পারেখকে ডেকে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে আইটি সংস্থাটিকে।
আরও পড়ুন- এবার তালিবানি ধর্ষণের শিকার পুরুষও - দেশ ছাড়ার টোপ দিয়ে তৈরি ফাঁদ, দেখুন ছবিতে ছবিতে
আরও পড়ুন - ২০ বছর পর সামনে এল আল-কায়েদার গোপন ষড়যন্ত্র - ৯/১১-র পরই ছিল আরও বড় হামলার ছক, দেখুন
তারমধ্যেই, সংঘের পক্ষ থেকে গুরুতর অভিযোগটি আনা হল। এতদিন পর্যন্ত, দেশ বিরোধিতার অভিযোগ উঠেছে সমাজ কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, লেখক, শিল্পী, শিক্ষার্থী, এবং রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে। কোনও সফটওয়্যার সংস্থা বা কর্পোরেট সংস্থার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ উঠল ই প্রথম।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে, পাঞ্চজন্য-র সম্পাদক হিতেশ শঙ্করকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ইনফোসিসের কাজের মানের উপর শুধু সংস্থার খ্যাতিই জড়িয়ে নেই। এটি শুধুমাত্র সংস্থার সুনামই খারাপ করেনি, কোটি কোটি মানুষের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের পরিষেবা সমাজে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। যদি ইনফোসিস সন্দেহজনক কোনও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তাহলে তাদের অবশ্যই সবাইকে জানাতে হবে কী ঘটেছে। পাঞ্চজন্য-র নিবন্ধ সামাজিক অসন্তোষকে নিয়ে লেখা। তিনি দাবি করেছেন, 'ইনফোসিসকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, তারা কোনও সফটওয়্যার সংস্থা, না সামাজিক ক্ষোভ তৈরির যন্ত্র।'