সংক্ষিপ্ত

সাধারণ গৃহস্থবাড়ি রাতারাতি হয়ে গেল অযাচিত শুড়িখানা।

মোট ১৮টি ফ্ল্যাটে জলের কল খুললেই পড়ছে মদ।

কেরলের ত্রিশুর জেলার ঘটনা।

এর পিছনে ছয় বছর আগের এক ঘটনা দায়ী বলে জানা গিয়েছে।

 

কেরলের ত্রিশুর জেলার সলোমনস অ্যাভিনিউ-এর একটি আবাসন। ছিল সাধারণ গৃহস্থবাড়ি। কিন্তু রাতারাতি ভোজবাজির মতো সেগুলিই হয়ে গেল শুড়িখানা। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বাড়ির যে কোনও জলের কল খুললেই কলকল করে পড়ছে মদ। একটি দুটি নয়, একেবারে ১৮টি ফ্ল্যাটে একই ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন - জন্ম নিল একচোখওয়ালা কুকুরছানা, তাকে নিয়েই মেতে নেটিজেনরা

স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে ছয় বছর আগে। ওই আবাসনের কাছেই 'রচনা' নামে একটি বার বা শুড়িখানা ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৬০০০ লিটার মদ সংরক্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। আদালতের নির্দেশে আবগারি দফতর-কে  ওই অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করছিল।

আরও পড়ুন - লাগবে মাত্র ২৫ লাখ, রুশ সংস্থা দিচ্ছে মৃত্যুর পরও অমরত্বলাভের সন্ধান

সম্প্রতি আদালত ওই বাজেয়াপ্ত মদ নষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আবগারি দপ্তরের কর্তারা ওই বার সংলগ্ন এলাকায় মাটিতে একটি গর্ত খনন করে এবং এক-এক করে ওই অবৈধ মদের বোতলগুলি সেখানে খালি করে। পুরো কাজটা করতে ছয় ঘন্টার উপর সময় লেগেছিল। কিন্তু, সেই কাজে যে একটা ভয়াবহভাবে ভুল হয়ে গিয়েছে, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।

আরও পড়ুন - ৯তলা বাড়ি থেকে পড়েও গটগটিয়ে হেঁটে চললেন মহিলা, শোরগোল নেটপাড়ায়, দেখুন ভিডিও

যেখানে ওই অবৈধ মদ নষ্ট করা হয়, তার খুব কাছেই ছিল সলোমনস অ্যাভিনিউ-এর ওই আবাসনের জলের কূপ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নষ্ট করা অ্যালকোহল ধীরে ধীরে মাটিতে প্রবেশ করে ওই কূপের জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। আর তার থেকেই ওই আবাসনের জলের ট্যাঙ্কে মদ মেশানো জল চলে আসছে। কল খুললেই পড়ছে মদ। এর জেরে ওই আবাসনের বাসিন্দাদের চান, খাওয়া বন্ধ হওয়ার জোগার। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন না গেলে ওই মদের প্রভাব কাটবে না। অসন্তুষ্ট বাসিন্দারা আবগারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চালকুড়ি-র পৌর সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগে আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুন - ৬ বছর ধরে চলছে প্রেম, এবার 'বোয়িং বিমান'-কে বিয়ে করতে চলেছেন যুবতী