সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে মমতার। এই বৈঠকের একাধিক অ্যাজেন্ডা রয়েছে। 

আগামী সপ্তাহেই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee)। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে মমতার। এই বৈঠকের একাধিক অ্যাজেন্ডা রয়েছে। একদিকে যেমন রয়েছেন বিএসএফের (Border Security Force) ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি, তেমনই থাকছে রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে, সেই বিষয়টি। মঙ্গলবার সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই তথ্য দেন। 

২২শে নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ফিরবেন ২৫শে নভেম্বর। সূত্রের খবর দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অন্যদিকে অনান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন মমতা। 

রাজ্যের দীর্ঘদিনের বকেয়া পাওনা পেতে কেন্দ্রকে চাপ দেবেন মমতা। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটারে বাড়ানোর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও তার আপত্তি তুলতে পারেন।  তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এর আগে বলেছিলেন যে কেন্দ্রের পদক্ষেপ শুধুমাত্র "সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করা" এবং এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন মমতা। ।

এর আগে, নভেম্বর মাসেই বিএসএফের ক্ষমতাধীন এলাকার পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় সীমান্তের ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি, গ্রেফতারের অধিকার দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। বলা হয় এখন থেকে বাংলা-সহ তিন রাজ্যে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে তারা তল্লাশি, গ্রেফতার ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। এমনকী অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবে রাজ্য পুলিশের মতো তল্লাশি ও গ্রেফতারির অধিকারও থাকবে বিএসএফের। 

Imran Khan-সেনা-সরকারের মাঝে পিষছেন ইমরান,পদত্যাগ করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী

Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন

উল্লেখ্য, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের (BSF) সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকেই সংঘাত চলছে দিল্লির। এর আগে জুলাই মাসে দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেবার কোভিড টিকা, রাজ্যের নাম পরিবর্তন এবং সাম্প্রতিক পেগাসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা হয় দুই প্রধানের। 

প্রধানমন্ত্রীর বাসভাবনের বাইরে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে ছিলেন, পেগাসাস কেলেঙ্কারি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত। বিরোধী দলীয় নেতারা, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ৪০ জন সাংবাদিক এই ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি করার সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে। এই স্পাইওয়্যার শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারদেরই বিক্রি করা হয়। তাই এই ঘটনার সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে তদন্ত হওয়া উচিত।