সংক্ষিপ্ত
- ফের আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার পড়ল ছাত্র বিক্ষোভে
- জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে ফ্রি কাশ্মীরের পোস্টার দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে
- বুধবার এই পোস্টার হাতে দেখা গিয়েছে সেন্ট স্টিফেন্সের ছাত্রদের
- এর আগে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া গেটের কাছে একই কাজ করেছিলেন মাহেক মির্জা প্রভু
ফের আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার পড়ল ছাত্র বিক্ষোভে। এবার জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে ফ্রি কাশ্মীরের পোস্টার হাতে দেখা গেল দিল্লি ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের। বুধবার এই পোস্টার হাতে দেখা গিয়েছে সেন্ট স্টিফেন্সের ছাত্রদের। এর আগে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া গেটের কাছে একই কাজ করেছিলেন মাহেক মির্জা প্রভু। পরে অবশ্য় নিজের এই কাজের জন্য় সুর নরম করেন তিনি।
নির্ভয়াকাণ্ডে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল সুপ্রিম কোর্টে, পিছিয়ে যাবে কি ফাঁসি
বুধবারই জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লি ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা ক্লাস বয়কট করে। ছাত্রছাত্রীদের একাংশের হাতে এই প্ল্য়াকার্ড দেখে সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুরু হয় বাক্যবাণ। গেরুয়াপন্থীদের অনেকেই বলেন, ওই প্রতিবাদীদের অভিভাবকরা দেশাত্মবোধ নিয়ে ছেলেমেয়েদের উচিত শিক্ষা দিতে পারেননি। সেই কারণেই তাঁদের মনে এই ধরনের চিন্তার প্রতিফলন ঘটছে। জানা গেছে, আজাদ কাশ্মীর পোস্টারের পাশাপাশি কলেজের কিছু যুবক আজাদির স্লোগানও তোলে। যার জেরে চিন্তায় পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ততবে এই নিয়ে এখনও কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া গেটে আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার দেখিয়েছিলেন মাহেক মির্জা প্রভু নামের এক যুবতী। যার জেরে মঙ্গলবারই মারাঠি যুবতী মাহেক মির্জা প্রভুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। বিভ্রান্তি এড়াতে এবার নিজেই মুখ খুললেন মাহেক। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, কোনও দেশবিরোধী গ্রুপের সঙ্গে জড়িত নন তিনি। তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা বন্ধ হোক।
বৌদির মৃত্য়ুর খবরে আত্মঘাতী যুবক, চাঞ্চল্য ছড়াল আরজি কর হাসপাতালে
সম্প্রতি মুম্বইয়ে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে জেএনইউ-তে হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। সেখানেই 'ফ্রি কাশ্মীর' লেখা পোস্টার হাতে এক মহিলার ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই মহিলাকে 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' আখ্য়া দিয়ে পাল্টা আন্দোলনে নামে বিজেপি। প্রশ্ন তোলা হয় শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি সরকারের বিরুদ্ধেও। কীভাবে মুম্বইয়ের মতো জায়গায় দেশবিরোধী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। এরপর থেকেই ওই যুবতীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
আমরা কি দোষ করলাম, নাম না করে 'দীপিকাদের খোঁচা' জেএনইউ-এর উপাচার্যের
যদিও এ সবের সাফাই দিয়ে মাহেক জানান, তিনি নিজে কাশ্মীরি নন। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে উপত্যকায় নেট বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। দেশের নাগরিকদের মতো তাঁদের বাক স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। তিনি সেই কথাই তুলে ধরেছেন। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। এমনকী নিজে সেই পোস্টার লেখেননি মাহেক। প্রতিবাদরত ছাত্রদের পড়ে থাকা পোস্টারই তুলে নেন তিনি। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে তাঁর নামে সোশ্য়াল মিডিয়ায় যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা ঠিক নয়।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, মাহেকের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-র বি ধারায় মাহেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দ্রুত তাঁকে ডেকে পাঠাবে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই ওই ভিডিয়ো ও ইন্ডিয়া গেটের চারিদিকের ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। তাঁর 'ফ্রি কাশ্মীর' পোস্টার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, এদিন একটি ভিডিয়ো মেসেজ রিলিজ করেন মুম্বইয়ের ওই লেখক-অভিনেত্রী। যাবতীয় বিতর্ক খণ্ডন করে মাহেক বলেন, ৩৭০ প্রত্যাহার পরবর্তী কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তির কথা বলতেই তিনি এই পোস্টার ব্যবহার করেছেন। কাশ্মীরের জন্য় পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে তিনি ওই পোস্টার লেখেননি। মনে করা হচ্ছে, দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে আজাদ কাশ্মীরের পোস্টারধারীদের বিরুদ্ধেও ব্য়বস্থা নেবে পুলিশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই ওই পড়ুয়াদের ওপর নজর রাখছে দিল্লি পুলিশ।