সংক্ষিপ্ত
গত কয়েকদিন ধরে, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir), হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) এবং উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বেশ কয়েকটি অংশে প্রবল তুষারপাত চলছে। তারই মধ্যে বরফে ঢাকা শ্রীনগর (Srinagar) রেল স্টেশনের ছবি পোস্ট করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
গত কয়েকদিন ধরে, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir), হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) এবং উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বেশ কয়েকটি অংশে প্রবল তুষারপাত চলছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় যে তুষারপাত শুরু হয়েছে, তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আর তাতেই ভারতে তৈরি হয়েছে এক স্বপ্নের স্বর্গীয় রেল স্টেশন। যার ছবি খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করেছেন।
রবিবার বরফে ঢাকা শ্রীনগর রেলওয়ে স্টেশনের (Srinagar railway station) ছবি শেয়ার করেন রেলমন্ত্রী। সঙ্গে একটি জনপ্রিয় উদ্ধৃতি দিয়েছেন, 'গর ফিরদৌস বর রুয়ে জমি অস্ত / হমি অস্তো হমি অস্তো হমি অস্ত'। যা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, 'যদি পৃথিবীতে স্বর্গ থাকে, তবে তা এখানেই, তা এখানেই, তা এখানেই'। সঙ্গে তিনি লিখেছেন হ্যাশট্যাগ শ্রীনগর রেলওয়েস্টেশন। ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে। শ্রীনগর রেলস্টেশনের এইসব তুষাড়াবৃত ছবি, মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের।
আরও পড়ুন - Terrorists Killed: ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার, জইশের তিন জঙ্গি খতম
একজন লিখেছেন, এই ছবিগুলি দেখার পরে শ্রীনগরে তাঁকে যেতেই হবে। আরেকজন লিখেছেন, শ্রীনগর রেল স্টেশনের এই ছবিগুলি মন্ত্রমুগ্ধকর। আরেকজন লিখেছেন, শ্রীনগর রেলওয়ে স্টেশনটি দেখে মনে হচ্ছে সুইজারল্যান্ড বা অন্য কোনও ইউরোপীয় দেশের রেলওয়ে স্টেশন। শ্রীনগর রেল স্টেশনের এই বরফে ঢাকা ছবি নেটিজেনদের মন কাড়লেও, প্রবল তুষাড়পাতের কারণে ব্যাহত বিমান যোগাযোগ।
শ্রীনগর বিমানবন্দরে (Srinagar Airport) দৃশ্যমানতা হ্রাসের ৬০০ মিটারেরও কম হয়ে গিয়েছে। এই কারণে শনিবার থেকে নির্ধারিত প্রচুর উড়ান বাতিল করতে হয়েছে। ৪ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে ২৭৩ টির মতো উড়ান বাতিল করতে হয়েছে। শীতে দৈনিক উড়ানের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫ থেকে ৪০টি করা হয়েছে। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত ছয় দিনে গড়ে প্রতিদিন শ্রীনগর বিমানবন্দরে ৫৩টিরও বেশি উড়ান বাতিল করতে হয়েছে। ফলে বহু পর্যটকই বর্তমানে উপত্যকায় আটকে গিয়েছেন।
অন্যদিকে রামবান জেলায় ভারী তুষারপাত এবং একাধিক ভূমিধসের কারণে গত তিন দিন বন্ধ থাকার পর, জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কটি যান চলাচলের জন্য ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক চলাচল স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার কাজ এখনও চলছে। শুক্রবার বিকেল থেকে এই জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কাশ্মীর উপত্যকা আসলে বর্তমানে 'চিল্লা-ই-কালান'-এর (Chilla-i-Kalan) কবলে রয়েছে। কি এই 'চিল্লা-ই-কালান'? কাশ্মীর উপত্যকায় প্রতি বছরই ২১ ডিসেম্বর থেকে অন্তত ৪০ দিনের কঠোর শীতের পর্ব চলে, একেই বলা হয় 'চিল্লা-ই-কালান'। শৈত্য প্রবাহের কারণে এই সময় গোটা উপত্যকার তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। যার ফলে ডাল লেক এবং কাশ্মীর উপত্যকার বেশ কয়েকটি অংশে জলাশয়গুলি জমে বরফ হয়ে যায়। এমনকী, জল সরবরাহের লাইনগুলিতেও জল জমে যায়। ৩১ জানুয়ারি 'চিল্লা-ই-কালান' শেষ হবে। তবে তারও পরে চলবে ২০ দিনের 'চিল্লাই-খুর্দ' (ছোট ঠান্ডা) (Chillai-Khurd) এবং ১০ দিনের 'চিল্লাই-বাছা' (আরও ছোট ঠান্ডা) (Chillai-Bachha)।