Bangladesh: বাংলাদেশে গত বছর শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পতনের পর আওয়ামি লিগের (Bangladesh Awami League) নেতা-কর্মীদের অনেকেই ভারতে পালিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে এক দাগি নেতাও আছেন বলে অভিযোগ।

DID YOU
KNOW
?
আওয়ামি লিগের নেতারা ভারতে
২০২৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামি লিগের অনেক নেতাই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে কলকাতায় লুকিয়ে আছেন বলে অভিযোগ।

Bangladesh News: কলকাতায় বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারকে (Mohammad Anwarul Azim Anar) খুনের অভিযোগ রয়েছে। যশোর (Jashore) পৌরসভার ঘোষপাড়ায় সাধন কুমার নামে এক ব্যক্তির প্রায় ১৫ কাঠা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া যশোর পুলিশ লাইনের বিপরীতে নগেন ঘোষ নামে এক ব্যক্তির প্রায় ৫০ বিঘা জমি জবরদখলের অভিযোগও রয়েছে। সেই জমিতে একটি মাদ্রাসা তৈরি করিয়েছেন। সেই মাদ্রাসায় রাতে জঙ্গি ও জেহাদি ট্রেনিং হয় বলে অভিযোগ। এত অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই শাহিন চাকলাদার (Shahin Chaklader) এখন কলকাতার নিউটাউনে বহাল তবিয়তে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের অনেকেই দাবি করছেন, ‘যশোরের ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত আওয়ামি লিগের (Bangladesh Awami League) প্রাক্তন এমপি শাহিনকে এখন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। তাঁর সঙ্গে খুড়তুতো ভাই যুব লিগ নেতা সোহাগ হত্যা মামলা-সহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুও কলকাতায় আছেন বলে অভিযোগ।

কলকাতায় মধুচক্র চালাচ্ছেন শাহিন!

বাংলাদেশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সাংবাদিক এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া তথ্যে জানিয়েছেন, নিউটাউনে সিটি সেন্টার টুয়ের আশেপাশে মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে শাহিনকে। তিনি কলকাতায় কিনছেন নতুন কালো রঙের জিপ গাড়ি। সেই গাড়ির সামনে বসে তিনি কলকাতাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিউটাউনে নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে যশোর, নড়াইল (Narail District) ও ঢাকা (Dhaka) থেকে কিছু মেয়ে এনে মধুচক্র ও মিনি বার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশের কিছু লোকজন নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নামও রয়েছে।

বাংলাদেশে কারাদণ্ড হয়েছে শাহিনের

বাংলাদেশের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের পুরনো একটি মামলায় শাহিনের চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ২০২১ সালে যশোরের কেশবপুর থানার ওসি-কে থানায় বোমা মেরে একজন পরিবেশকর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য তাঁর ও সংশ্লিষ্ট ওসি-র অডিও ভাইরাল হয়। এরকম একজন দাগি নেতা যদি সত্যিই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে কলকাতায় থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে এলেন এবং কীভাবে থাকছেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।