- Home
- World News
- Bangladesh News
- তিস্তার রোষে এবার বাংলাদেশ, রংপুর-সহ একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি
তিস্তার রোষে এবার বাংলাদেশ, রংপুর-সহ একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি
ভারতের পর এবার তিস্তার রোষে বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ একাধিক নদীতে জল বাড়ছে। সতর্ক করছে বাংলাদেশে জল উন্নয়ন বোর্ড।

তিস্তার জলে ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতের পর এবার তিস্তার রোষে বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ একাধিক নদীতে জল বাড়ছে। জল সমতল আগামী ২ দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। নদীগুলির জল আগামী ২৪ ঘন্টায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এমনটাই সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা
তিস্তা-সহ একাধিক নদীর জল বাড়ায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপদ স্থানে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে।
ভারত সীমান্তে জল বাড়ছে
ভারত সীমান্তের নিকটে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর জল রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। সোমবার সকাল ৬টায় তা কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সকাল ৯টায় ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বাংলাদেশের জল উন্নয়ন বোর্ড
জল উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বর্ষণের ফলে তিস্তার জল হু হু করে বাড়ছে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলা— পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর। রোপা আমন ক্ষেত, বাদামসহ অনেক কৃষি জমির ফসলও চলে গেছে পানির নিচে।
জলের তলায় চাষের জমি
বিশেষ করে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ি, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী, কাকিনা, নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া, পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ি ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জলে তলিয়ে গেছে।

