- Home
- World News
- Pakistan News
- আফগানিস্তান সীমান্তে পাক-তালিবান গুলির লড়াইয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা, যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা ইসলামাবাদের
আফগানিস্তান সীমান্তে পাক-তালিবান গুলির লড়াইয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা, যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা ইসলামাবাদের
Pak Afghan Ceasefire: পাক-আফগান সীমান্তে যুদ্ধ নিয়ে এবার কী তাহলে সংঘর্ষ বিরতির পথে হাঁটতে চলেছে দুই দেশ? ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ডাক পাকিস্তানের। কী বলছে পাক সরকার? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা তালিবানের
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের বিমান হামলায় বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশই। তীব্র লড়াই-সংঘাতের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যারফলে পাকিস্তান এবং তালিবান সরকার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
কখন থেকে কার্যকর হবে যুদ্ধ বিরতি?
এই বিষয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। যেখানে উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে। সঙ্ঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দুই দেশের বহু সাধারণ নাগরিক মারা গিয়েছেন।
পাক-আফগান সীমান্ত সঙ্ঘাত
আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে, পাকিস্তানের হামলায় একাধিক সাধারণ মানুষ নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসলামাবাদ দাবি করেছে যে তারা তাদের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালানো গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যাদের আফগানিস্তান আশ্রয় দিচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এর জেরেই সীমান্তজুড়ে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সংঘাত বন্ধে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিকে রাজি হয়েছে দুই দেশ। তবে এখন দেখার কোন পথে এগোয় পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান সীমান্ত সঙ্ঘাতের সম্পর্ক।
কী কারণে সঙ্ঘাত
সূত্রের খবর, 'দুই দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘাত ২০২১ সালে কাবুলে তালিবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে হওয়া সহিংসতার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ছিল। যা সপ্তাহান্তে হওয়া সংঘর্ষের পর বজায় থাকা আপাত শান্তিকে নষ্ট করে দিল।
কী কারণে এই যুদ্ধবিরতি ?
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। যার লক্ষ্য হল, অস্থির সীমান্ত বরাবর সাম্প্রতিক লড়াইয়ের পর শত্রুতা প্রশমিত করা এবং আলোচনার জন্য একটি পথ খোলা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এই অস্থির অঞ্চলে সামরিক সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

