Kashish Chaudhary: পাকিস্তান (Pakistan) থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বালোচিস্তান (Balochistan)। এরই মধ্যে এই প্রদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করা হল।
Kashish Chaudhary Balochistan: বালোচিস্তানের (Balochistan) স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যেই বিরাট কৃতিত্ব অর্জন করলেন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক মহিলা। এই মহিলার নাম কাশিশ চৌধুরী (Kashish Chaudhary)। তাঁর বয়স মাত্র ২৫ বছর। তিনি বালোচিস্তানের অন্যতম অনুন্নত অঞ্চল ঝোব জেলার নওশকি শহরের বাসিন্দা। বালোচিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (Hindu Woman Assistant Commissioner) নিযুক্ত হলেন। বালোচিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (Balochistan Public Service Commission) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি এই পদে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। তাঁর এই সাফল্য পাকিস্তানের তরুণ সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য অনুপ্রেরণা। সোমবার কাশিশ তাঁর বাবা গিরিধারি লালের সঙ্গে বালোচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতির সঙ্গে দেখা করেন। মহিলা ও সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন কাশিশ। তাঁর এই কৃতিত্বে গর্বিত বলে জানিয়েছেন বাবা। তিনি জানিয়েছেন, কাশিশের স্বপ্ন ছিল ভালো করে পড়াশোনা করে মহিলাদের উন্নতিতে কাজ করা। এবার তিনি সেই কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
কীভাবে সাফল্য পেলেন কাশিশ?
একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাশিশ জানিয়েছেন, এই সাফল্য অর্জনের জন্য তাঁকে তিন বছর কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হয়েছে। তিনি প্রতিদিন আট ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। সমাজের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই তিনি এই কাজে ব্রতী হয়েছেন।
পাকিস্তানে সাফল্য অর্জনকারী প্রথম হিন্দু মহিলা কারা?
পাকিস্তানের পুরুষ-প্রধান ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনকারী প্রথম হিন্দু মহিলা কাশিশ। তাঁর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মণীষা রোপেটা করাচিতে পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হওয়া প্রথম হিন্দু মহিলা হওয়ার সম্মান অর্জন করেন। তিনি এখনও সেখানে কর্মরত। কয়েক বছর আগে ৩৫ বছর বয়সী পুষ্পা কুমারী কোহলি সিন্ধু প্রদেশে পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি করাচি পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। সুমন পবন বোধানী ২০১৯ সালে সিন্ধু প্রদেশে তাঁর নিজের শহর শাহদাদকোটে দেওয়ানি বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অধিকাংশ হিন্দু জনসংখ্যা সিন্ধু প্রদেশে বসবাস করে। সেখানে লড়াই করে সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

