সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানে নিহত জইশ ই মহম্মদের আত্মীয়। পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে জইশ ই মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের এক আত্মীয় ক্কারী এজাজ আবিদকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয়ের দুস্কৃতীদের হাতে নিহত মৌলানা মাসুদ আজহারের এক আত্মীয়

লাহোর: পাকিস্তানে নিহত জইশ ই মহম্মদের আত্মীয়। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে জইশ ই মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের এক আত্মীয় ক্কারী এজাজ আবিদকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয়ের দুস্কৃতীদের হাতে নিহত মৌলানা মাসুদ আজহারের এক আত্মীয়।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পিস্তখারা এলাকার একটি মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। প্রকাশ্যে এই ধরনের ঘটনা ফের পাকিস্তানে জঙ্গিকার্যকলাপ বৃদ্ধির দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাক পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে এই গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। গুলিতে নিহত ক্কারী এজাজ আবিদ হলেন সুন্নাত ওয়াল জামাতের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এবং তিনি খতম এ নবুওয়াদের প্রাদেশিক নেতা ছিলেন। তাঁকে কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনায় তার সঙ্গী শহীদও গুরুতর আহত হয়েছেন।

সূত্রের খবর, খুব কাছ থেকে দুজনকে গুলি করা হলেও অপরাধীরা পলাতক। কাউকেই এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এজাজ কে ছিলেন? ক্কারী এজাজ আবিদ শুধুমাত্র মাসুদ আজহারের আত্মীয়ই নয়। জইশ ই-তে সন্ত্রাসী নিয়োগে সে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনন করত। তিনি দেওবন্দি মতাদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তিনি প্রথমদিকে মাসুদের সহপাঠীও ছিলেন।

পাক গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এজাজ বিভিন্ন যুবকদের ব্রেন ওয়াশ করে জইশের প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠাত। সূত্রের খবর, আদতে এজাজ ছিলেন একজন মধ্যস্থতাকারী। তিনি সন্ত্রাসীদের ব্রেন ওয়াশ করে জইশের হাতে তুলে দিতেন।

কীভাবে কাজ করতেন এজাজ- মাসুদ আজহারের পরিকল্পনা সরাসরি নিয়োগ না করে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে যুবকদের ব্রেন ওয়াশ করে তাদের এজাজ সভার আয়োজন করে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হত। তারপর ধীরে ধীরে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

এদিকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের অন্দরে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ধরনের ঘটনা। ২০২৫ সালে এই ধরনের ঘটনা, হামলা অন্তত একডজন ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে এবার মাসুদের আত্মীয়ের মৃত্যুতে পাক সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের যে ক্ষোভ বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য, মাসুদ আজহার হলেন ২০০১ সালে ভারতের সংসদে হামলা, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড। তার সহযোগী হিসেবেই কাজ করতেন এই এজাজ। মনে করা হচ্ছে তার জইশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এটি জইশের জন্য ক্ষতি। তবে পাকিস্তানের সমর্থনন না কমলে সন্ত্রাসবাদ সমস্যা থেকেই যাবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।