Pakistan Indus water treaty: পহলেগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে চরমে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সম্পর্ক। জানুন আরও…
Pakistan Indus water treaty: পহলেগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে চরমে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সম্পর্ক। পাকিস্তানকে (Pakistan News) শিক্ষা দিতে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রেখেছে ভারত সরকার (Narendra Modi News)। দু-দেশের এই জলচুক্তি স্থগিতের খবরে কপালে চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের। প্রাপ্য জল আটকে দেওয়া হলে এবার ভারতে 'দেখে' নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ পাকিস্তানের মন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সম্প্রতি এক পাক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানের যে জল প্রাপ্য, তা আটকাতে ভারত কোনও বাঁধ তৈরি করলে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও জানান, ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান সম্পর্কের জটিলতার কথা ইসলামাবাদের তরফে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা হয়েছে। তবে এখন দেখার ভারত-পাকিস্তান দ্বন্ধের জল কোনদিকে গড়ায়।
সূত্রের খবর, সিন্ধু নদীর জলের উপর পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভরশীল। ভারত সরকারের তরফে এই জল সরবরাহের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হলে খুব শীঘ্রই খরার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে শাহবাজ শরিফের দেশে। কারণ, জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত দুই দেশের সম্পর্ক। তলানিতে ঠেকেছে ব্যবসা বাণিজ্য। পাকিস্তানের সঙ্গে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। তারপর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে উঠেছে পাকিস্তান। এবার খোদ সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীই ভারতের বিরুদ্ধে হুংকার দিলেন। তিনি বলেন, ''শুধু গুলি-বন্দুকেই আগ্রাসন হয় না। আগ্রাসনের আরও একটা রূপ জল আটকে দেওয়া। সেটা করলে খিদে-তেষ্টায় মানুষ মারা যেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ''সিন্ধু সিস্টেমের নদীগুলির উপর কোনও বাঁধ তৈরি করে জল আটকানো হলে তা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন হিসাবে দেখা হবে। সে ক্ষেত্রে তা হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সরাসরি আগ্রাসন। ভারত এমন কিছু করলে আমরা যে কোনও নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেব।''
অন্যদিকে, পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায় ভারত সরকার যে মোটেও আমল দিচ্ছে না তা আরও একবার ফের স্পষ্ট হল। কারণ, এবার বন্দরের পর এবার বাণিজ্য। পহেলগাঁও ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারত সরকার পাকিস্তান থেকে সকল পণ্যের আমদানি এবং ট্রানজিট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে আরোপ করা হয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়েছে।
সূত্রের খবর, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ভারত পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন বা রপ্তানি হওয়া সমস্ত পণ্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আমদানি এবং রফতানির উপর তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাদের আমদানির স্থিতি নির্বিশেষে, কার্যকরভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার জারি করা বাণিজ্য ও শিল্পের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "বিদেশী বাণিজ্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৯২ এর ধারা ৩ এবং ধারা ৫ এর অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, বিদেশী বাণিজ্য নীতি (এফটিপি) ২০২৩ এর অনুচ্ছেদ ১.০২ এবং ২.০১ অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার এতদ্বারা ২০২৩ সালের বিদেশী বাণিজ্য নীতিতে একটি নতুন অনুচ্ছেদ ২.২০এ সন্নিবেশ করছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।" "অনুচ্ছেদ ২.২০এ: পাকিস্তান থেকে আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা। পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন বা রপ্তানি হওয়া সমস্ত পণ্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আমদানি বা ট্রানজিট, তা অবাধে আমদানিযোগ্য হোক বা অন্যথায় অনুমোদিত হোক, তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হল, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে


