সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের আদালতে আবারও জয় পেলেন ইমরান খান। ১২০ দলীয় সমর্থককে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ লাহোর আদালতের।
পাকিস্তানের আদালতে আবারও বড় সাফল্যের মুখ দেখল ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক -ই -ইসাফ পার্টি। পাকিস্তানের একটি আদালত শনিবার ইমরান খানের প্রায় ১২০ জনেরও বেশি সমর্থককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গত ৯ মে ইমরান খানের গ্রেফতারের পর এই পঞ্জাব প্রদেশে এই সমর্থকরা হিংসা ছড়িয়ে ছিল বলে অভিযোগ। লাহোর হাইকোর্ট দেরি না করে ইমরান খানের পিটিআই-এর ১২৩ জন কর্মীকে মুক্তি দিয়ে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।
ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিবের দায়ের কথা পিটিশনের শুনানির সময় লাহর হাইকোর্টের বিচারপতি আনোয়ারুল হক এই আদেশ দিয়েছে। ফয়সালাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া এই দলীয় কর্মীরা পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলে বন্দি রয়েছে। অন্যদিকে পঞ্জাব প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেছেন, ৯ মে হিংসার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর রাজ্যের পুলিশ ১৩৮ টি মামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মহিলার খোঁজ শুরু করেছে। নাকভি জোর দিয়ে বলেছেন,পুরুষ অফিসাররা যাতে মহিলাদের গ্রেফতার না করে তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেনার অফিসে ভাঙচুর আর সরকার সম্পত্তি নষ্ট যারা করেছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
অন্যদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা HRW পাকিস্তান সরকারের কাছে ইমরান খানের সমর্থক যারা ৯ মে হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত করে পাকড়াও করা হয়েছে তাদের মানবাধিকার অক্ষুন্ন রাখার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে। শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, 'পাকিস্তান সরকার উচিৎ রাজনৈতিক বিরোধী কর্মীদের ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা বন্ধ করে দেওয়া।' পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারেরও তীব্র সমালোচনা করেছে এই সমগঠন।
অন্যদিকে দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা শেষ করার একমাত্র উপায় হল সাধারণ নির্বাচন। পিডিএম নেতারা ও নওয়াজ শরিফ , যিনি লন্ডনে লুকিয়ে রয়েছে, দেশের সংবিধানকে অপমান করছেন বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করছে। পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর য়ে বদনাম হচ্ছে তা নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন। ইমরান জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর দল দেশের লুণ্ঠিত সম্পদ বাঁচানোর স্বার্থ খুঁজছে। ইমরান বলেন, তিনি দেশের আসন্ন বিপর্যয়ের কথা ভেবে রীতিমত ভয় পাচ্ছেন। তাঁর দেশের দেশের ক্ষমতাবানদের কাছে তাঁর একটাই আর্জি 'যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনই একমাত্র দেশকে বাঁচাতে পারে।' তিনি আরও বলেন পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। যেকোনও সময়ই তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তিনি আরও বলেন তাঁর বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নেতৃত্বে রয়েছে দেশের জোট সরকার ও পঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
আরও পড়ুনঃ
গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠকে চাপা দিতে দেব না, জাপান যাওয়ার আগে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
'নির্বাচন না হলে পাকিস্তানের অবস্থা পূর্ব পাকিস্তানের মতই হবে', জোট সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি ইমরানের