ভারতের বিরুদ্ধে রণং দেহি মূর্তিতে কথা বলার পর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই সুর নরম করেন।
নিজের অবস্থান বদল করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আগের দিনই ভারতের বিরুদ্ধে রণং দেহি মূর্তিতে কথা বলেছিল। তার কয়েক ঘন্টা পার হতে না হতেই সুর নরম হল পাকিস্তানের। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে শান্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।
অপারেশন সিঁদুরের র প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেছিলেন, সেখান নিরীহ মানুষের রক্ত ঝড়েছে। এই রক্তের উপযুক্ত জবাব সময় হলেই ভারতকে দেবে পাকিস্তান। সেই দেশের সেনা এই জবাব দিতে প্রস্তপত এবং ভারতকে ওই হামলার মূল্য চোকাতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারই বদলে গেল এই পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য আলোচনায় বসতে রাজি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তিনি গিয়েছিলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব এলাকার কামরা এয়ারবেসে। ওই বিমানঘাঁটিতে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘর্ষে জড়িত অফিসার এবং সৈন্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এদিকে সিন্ধু নদ চুক্তির জল এবং অন্যান্য বিষয় পাকিস্তান কথা বলতে চাইলেও ভারত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। জানিয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গি দমন নিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলা হবে। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক। তবে এই জন্য শর্তও থাকবে। পাকিস্তান জঙ্গিবাদ মোকাবিলা এবং তাদের দেশে জঙ্গি পরিকাঠামো বন্ধ করতে সম্মত হলেই কথা হবে। এছাড়া অন্য কোনও ইস্যি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পেহলগাঁও-তে নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গীরা। সেই পাকিস্তানকেই যোগ্য জবাব দেয় ভারত। অপারেশন সিঁদুর দ্বারা পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানও আঘাত করে ভারতে। ছোঁড়ে একাধিক ড্রোন ও মিসাইল। কিন্তু, পাকিস্তারে সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন ও মিসাইল রুখতে সক্ষম হয় ভারতীয় সেনা বাহিনী। এমনকী, পাকিস্তানের দুটি J-17 এবং F-16 বিমানকে ধ্বংস করে দেয় ভারতের এয়ার ট্র্যাফিক ডিফেন্স।
এদিকে আবার পাকিস্তানের মোট ১৬টি শহরে আক্রমণ করে ভারতীয় সেনা। এই আবহে বালুচিস্তামের যোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনার ওপর আক্রমণ চালায়। সূত্রের খবর, বালুচিস্তানের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে পাকিস্তানের হাতছাড়া হয়েছে। এমনই দাবি করে বিখ্যাত বালোচ লেখক। সে যাই হোক, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মাঝে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করার প্রচেষ্টা নিল পাকিস্তান।


