সংক্ষিপ্ত
কার্যত অবরুদ্ধ বাংলাদেশ (Bangladesh)। গোটা দেশ উত্তাল ছাত্র আন্দোলনে। প্রসঙ্গত, কোটা তথা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এইমুহূর্তে বাংলাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন চলছে। কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পড়শি দেশে। চলছে তুমুল ছাত্রবিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ।
কার্যত অবরুদ্ধ বাংলাদেশ (Bangladesh)। গোটা দেশ উত্তাল ছাত্র আন্দোলনে। প্রসঙ্গত, কোটা তথা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এইমুহূর্তে বাংলাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন চলছে। কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পড়শি দেশে। চলছে তুমুল ছাত্রবিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদের (Student Protest) ওপরই নেমে এসেছে পুলিশ এবং আধাসেনার আক্রমণ।
কেন মেধাকে পিছনে ফেলে কোটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে? তাই আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। আর এই সংরক্ষণ বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ এবং আধাসেনার হামলার জেরে মৃত্যুর প্রতিবাদে এবার অবরুদ্ধ গোটা দেশ। দোষীদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা অবসানের দাবিতে শুক্রবারও, সর্বাত্মক বনধ পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত স্তব্ধ বাংলাদেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থা। তবে সেই দেশের তরুণরা দায়িত্ববোধ ভুলে যাননি। তাই জরুরি ব্যবস্থাকে ছাড় দিয়েছেন তারা।
আর শুক্রবারও রক্তাক্ত হল ওপার বাংলা, শেষ হয়ে গেল ৩টি তরুণ প্রাণ। ইতিমধ্যেই, রাজধানী ঢাকায় সমস্ত ধরনের সভা, সমাবেশ এবং মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এমনকি, বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস। শনিবারও বাতিল থাকবে এই ট্রেনটি।
আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকায় সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। যার ফলে ঢাকা সহ সমগ্র দেশ কার্যত অচল। রাজধানী ছাড়াও দেশের আরও ৪৭টি জেলায় গতকাল দিনভর বিক্ষোভ চলেছে। সংঘর্ষের জেরে গতকাল ২৭ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। শুধু ঢাকাতেই (Dhaka) এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। আর শুক্রবারও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ৩ জন হলেন আবদুল গনি, রাকিব এবং রাসেল। আবদুল গনির বয়স ৪৫ বছর। অন্যদিকে, রাকিবকে শুক্রবার দুপুর ২টোর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিকে রাসেলকে মৃত ঘোষণা করা হয় রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে। মৃত আবদুল গনির ছেলে আল আমিন জানিয়েছেন, তাঁর বাবা গুলশানের একটি হোটেলে মিস্ত্রির কাজ করতেন।
উল্লেখ্য, রাকিবের মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রাসেলের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের সবার।
আরও পড়ুনঃ
তুমুল ছাত্র বিক্ষোভে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ! এবার মুখ খুললেন সেই দেশের ক্রিকেটাররা
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।