- Home
- World News
- International News
- ইথিওপিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত, কিন্তু ভারতে কেন ধোঁয়াশায় ঢাকল আকাশ? জেনে নিন কারণ
ইথিওপিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত, কিন্তু ভারতে কেন ধোঁয়াশায় ঢাকল আকাশ? জেনে নিন কারণ
ইথিওপিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খবর বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা ভারতের উপর এই অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব কেন পড়ল? ঠিক কী ঘটেছিল? আসুন এই আকর্ষণীয় বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ইথিওপিয়ার হেইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি প্রায় ১২,০০০ বছর পর আবার বিস্ফোরিত হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট বিশাল ছাইয়ের মেঘ ইয়েমেন, ওমান ও পাকিস্তান হয়ে ভারতে পৌঁছেছে। এটি দেশের বায়ু দূষণকে প্রভাবিত করেছে এবং বিমান চলাচল ব্যাহত করেছে।
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার হেইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি দীর্ঘদিন শান্ত ছিল। কিন্তু হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রচুর ছাই, ধোঁয়া ও কাঁচের কণা আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই বিশাল বিস্ফোরণে কোনো প্রাণহানি হয়নি। আশেপাশের গ্রামগুলো ছাইয়ে ঢেকে গেছে, ফলে পশুদের খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ছাইয়ের মেঘ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিমি বেগে চলে। এটি প্রথমে জয়সলমীর-যোধপুর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পরে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব ও উত্তর মহারাষ্ট্রের দিকে যায়। ২৫,০০০-৪৫,০০০ ফুট উচ্চতায় থাকায় মানুষের জন্য ঝুঁকি কম ছিল, তবে আকাশ ধূসর-বাদামী দেখায়।
বিমানের ইঞ্জিনে আগ্নেয়গিরির ছাই ঢুকলে ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। তাই DGCA বিমান সংস্থাগুলিকে রুট পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়। ইন্ডিগো, আকাশা এয়ার, এয়ার ইন্ডিয়া অনেক ফ্লাইট বাতিল করে। আবুধাবি, দুবাই, জেদ্দা, কুয়েত রুটের বিমানগুলি বেশি প্রভাবিত হয়। কিছু বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ছাইয়ের মেঘ অনেক উঁচুতে থাকায় স্বাস্থ্যের উপর বড় কোনো প্রভাব নেই। দিল্লির আকাশ আরও ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ও অন্ধকার দেখায়। সূর্যরশ্মি বাধা পাওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। দিল্লির AQI ৩২৮ থাকা অবস্থায় ছাইয়ের কারণে দৃশ্যমানতা কমে যায়।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের মতে, অগ্ন্যুৎপাতের ছাই ভারত অতিক্রম করছে এবং এখন চীনের দিকে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ৭.৩০-এর মধ্যে ভারতের আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রভাব অস্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোনো বড় ক্ষতি হবে না।

