কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি।
গাজা সিটি: গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি মিলেছে বলে জানা গেছে। আল জাজিরা হামাস সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে। বন্দিদের মুক্তি নিয়েও সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে। ধাপে ধাপে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে বলে বিবিসিও জানিয়েছে। কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘদিন পর গাজায় অস্থায়ীভাবে হলেও যুদ্ধবিরতি আসছে।
গত অক্টোবর থেকে গাজায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। এর অস্থায়ী সমাধান হিসেবেই এই যুদ্ধবিরতি। ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। ইজরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। গাজা দখলের জন্য ইজরায়েলের অভিযান চলার মধ্যেই কোনও শর্ত ছাড়াই হামাসের এই সম্মতি। তবে ইজরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গাজা থেকে লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তানীয় নাগরিককে দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের জন্য ইজরায়েল আলোচনা শুরু করেছে বলে গত কয়েকদিনে খবর বেরিয়েছিল। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে। পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষে নতুন মাত্রা যোগ করছে এই পদক্ষেপ। ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মকর্তারা সুদান সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। আট লক্ষ প্যালেস্তানীয়কে দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সুদান সরকারের ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। প্যালেস্তানীয়দের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপের সমালোচনা শুরু হয়েছে। গৃহযুদ্ধ এবং দারিদ্র্যে জর্জরিত দক্ষিণ সুদানের আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজন। তাই গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করলে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে বলে সুদান সরকার মনে করছে।
তবে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আরব লীগ তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। জোরপূর্বক স্থানান্তর আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এদিকে প্যালেস্তানীয় নেতারা এই খবর অস্বীকার করেছেন। গাজার জনগণকে অন্য কোনও দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে আরব এবং বিশ্বনেতারা জানিয়েছেন। ১৯৪৮ সালের আরব-ইজরায়েল যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের উদ্বাস্তু হওয়া এক ভয়াবহ ঘটনা বলে তারা মনে করেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক এই খবরের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।


