- Home
- World News
- International News
- 'সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে জিরো টলারেন্স', SCO সম্মেলনে ফের হুঁশিয়ারি বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্করের
'সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে জিরো টলারেন্স', SCO সম্মেলনে ফের হুঁশিয়ারি বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্করের
Jaishankar On Putin: পুতিনের ভারত সফরের আগেই রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। কী কথা হলো দুজনের? বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

পুতিন-জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ
মঙ্গলবার মস্কোতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর কাউন্সিল অব হেডস অব গভর্নমেন্ট বৈঠকে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে আলাদা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করেন জয়শঙ্কর। বৈঠকে তিনি সন্ত্রাসবাদ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং সংগঠনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কড়া বার্তা দেন বলে জানা গিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী সে কথা মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্করের বার্তা
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর লিখেছেন, “আজ বিকেলে এসসিও প্রতিনিধিদলের অন্যান্য প্রধানদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।” শুধু তাই নয়, এসসিও নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের আপসহীন অবস্থান আবারও জোর দিয়ে তুলে ধরেন। জয়শঙ্কর বলেন, সংগঠনটিকে অবশ্যই তার প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গীকারে অটল থাকতে হবে—সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থার এই “তিন দুষ্ট শক্তি”র বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করাই এসসিও-র প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
ভারত সফরে আসবেন পুতিন?
সূত্রের খবর, আগামী ৫ ডিসেম্বর ভারত সফরে আসার কথা আছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার আগে সোমবার, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও একান্ত বৈঠক করেছেন এস জয়শঙ্কর।
এসসিও-র কার্যকারিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব
এছাড়াও বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর কার্যকারিতা বাড়াতে সংস্থার কাঠামোগত সংস্কার ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের ওপর জোর দেওয়ার বিষয়েও মুখ খোলেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘’পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে এসসিওকে আরও নমনীয় ও অভিযোজনক্ষম হতে হবে।''
জয়শঙ্করের মুখে ভাষা প্রস্তাব
তিনি আরও বলেন যে, ‘’সংগঠনটি যত বেশি বৈচিত্র্যময় হচ্ছে, ততই এর আরও বেশি নমনীয়তা ও অভিযোজনক্ষমতা প্রয়োজন।'' তিনি সদস্যদেশগুলোর প্রতি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রস্তাব—রুশ ও চিনা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিকে এসসিও-র সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ—শীঘ্র বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

