International News

টুইটারে ভারতীয় দূতাবাসের জারি করা একটি জরুরি বার্তা অনুসারে খারকিভের ভারতীয় নাগরিকদের কাছের ইউক্রেনীয় শহর যেমন পেসোচিন বা রাশিয়ার বেলগোরোডের বেজলিউডোভকায় চলে যেতে বলা হয়। 

মণীষ দেব, সাথিয়া রেস্তোরাঁর মালিক। কিয়েভের ভারতীয় রেস্তোরাঁ হিসেবেই এতদিন পরিচিত ছিল এটি। কিন্তু যুদ্ধের কিয়েভে এটি আশ্রয়স্থল। বেঁচে থাকার ঠিকানা। এই সাত দিনে এই রেস্তোরাঁ প্রচুর মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। ক্ষুধার্তকে এগিয়ে দিয়েছে খাবার আর জল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে প্রায় ৬,০০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। রয়টার্স জেলেনস্কির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে রাশিয়ান বিমানবাহী সেনা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবতরণ করেছে। 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রুশ সেনা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে খারেসন অঞ্চল। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়ার প্যারাট্রুপাররা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবতরণ করেছে। 

রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই রাশিয়াকে একঘরে করতে প্রস্তুত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি আগেই তাদের আকাশসীমা রাশিয়ার জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল। 

সুমি শহরে থাকা ভারতীয় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন  রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় বিছানো রয়েছে ল্যান্ডমাইন। সেই কারণে তারা বাড়ির বাইরে বার হতে ভয় পাচ্ছেন।  তাঁরা আরও জানিয়েছেন রাশিয়া সীমান্ত তাঁদের শহর থেকে কাছে।

প্রায় ইউক্রেনকেই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। ইউক্রেনকে আটক করেই ক্রমশ ভিতরে প্রবেশের পথ প্রসস্থ করছে রাশিয়া তথা রুশ সেনা। যুদ্ধ শুরুর ষষ্ঠ দিনের মধ্যেই দখল হয়ে গিয়েছে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রও। উল্লেখ্য ইউক্রেনের খেরসন দিয়েও ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার অন্য এক সেনাদল।

রুশ-ইউক্রেনের যুদ্ধে মঙ্গলবার ইউক্রেনের মাটিতে প্রথম প্রাণ হারাল এখ ভারতীয়, যার নাম নবীন শেখারারাপ্পা। কর্নাটকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ঘড়ির কাঁটায় তখন সময় দুপুর ২ টো বেজে ৫৮ মিনিট।  রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হানায় কেঁপে উঠল ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। আর সেই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর একটি টুইট। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার জঙ্গিহানায় ইউক্রেনের মাটিতে প্রথম প্রাণ হারাল এক ভারতীয়। 
 

সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর প্রথম দফার আলোচনায় মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। এবার নতুন উদ্যমে বৈঠকে বসতে চাইছে দুই দেশ।

সফ্টওয়্যার নির্মাতা একটি ইমেলে তার সংস্থার কর্মীদের জানান যে জেইন মারা গেছে। এই মেল বার্তায় জেইনের আত্মার শান্তি কামনা করার আবেদন করা হয়।