সংক্ষিপ্ত
পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় এর দূরত্ব থাকবে ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার। তবে, মহাজাগতিক ক্ষেত্রে এই দূরত্ব নেহাতই নগণ্য বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশে সৃষ্ট জোরালো আলোড়ন, তার প্রভাব এসে পড়তে পারে মানুষের গ্রহের ওপরেও। সম্প্রতি মহাকাশ গবেষকদের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। গবেষকদের দাবি, বেশ দ্রুত গতি নিয়ে পৃথিবীর দিকে আরও একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে।
তীব্র গতিতে ছুটে এগিয়ে আসতে থাকা এই গ্রহাণুটি চলতি ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ নাগাদ নীল গ্রহের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় এর দূরত্ব থাকবে ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার। তবে, মহাজাগতিক ক্ষেত্রে এই দূরত্ব নেহাতই নগণ্য বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইএসএ-র তরফে জানানো হয়েছে যে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এই গ্রহাণুটির গতি তীব্র হলেও তা আকারে অনেকটাই ছোট। আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়েও ক্ষুদ্র এই গ্রহাণু। ৩০ সেন্টিমিটার কিংবা তার চেয়ে বড় টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহাণুকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল। এর ১.৩ গুণ কম দূরত্বের মধ্যে থাকা যে কোনও গ্রহাণু বা মহাজাগতিক বস্তুকে ‘পৃথিবীর নিকটবর্তী’ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসা এই গ্রহাণুটিকে বিজ্ঞানীরা নামকরণ করেছেন, ‘২০১৫ আরএন৩৫’ নামে। আকারে ছোট হওয়ায় এর দৃশ্যমানতা থাকবে তুলনামূলক ভাবে কম। রাতের আকাশে প্লুটোকে যে ভাবে দেখা যায়, এই গ্রহাণুটিকেও তেমন ভাবে দেখা যাবে।
১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাতের আকাশে টেলিস্কোপে চোখ রাখলে এই গ্রহাণুটিকে দেখা যাবে। ইউরোপের কিছু কিছু এলাকা থেকে তা দেখা যাবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু আকাশে জ্বলজ্বল করবে না। তবে বিজ্ঞানীদের কাছে এটি আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই গ্রহাণুটি নিয়ে বিশেষ কিছু তথ্য জানা যায়নি। তবে এই গ্রহাণু পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন-
চিকিৎসকদের দেখেই রে রে করে তেড়ে এলেন রোগীর ‘পরিচিত’রা, জলপাইগুড়ির হাসপাতালে মধ্যরাতে বহিরাগতদের ‘তাণ্ডব’
ভেঙে দেওয়া হল ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান মঞ্চ, রাতের অন্ধকারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের আলোড়ন
পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে জোরালো স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে লেগে পড়ল পদ্মশিবির, নয়াদিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে থাকছেন দিলীপ-শুভেন্দু