সংক্ষিপ্ত

 

  • ঝাড়গ্রামের জামবনিতে 'অকালবন্য়া'
  • ক্যানালের জলে ভেসে গেল একটি গ্রাম
  • আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়
  • লকগেট মেরামতি করতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি

বৃষ্টি-বাদলের নামগন্ধ নেই। অথচ কারও বাড়ির উঠানে জল থৈ থৈ করছে, তো কারও বাড়িতে আবার জলে জমে দিয়েছে শোওয়ার ঘরে! বৃহস্পতিবার সাতসকালে 'অকালবন্যা'য় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় ঝাড়গ্রামের জামবনি-র জমিদার ডাঙা গ্রামে। হকচকিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের ভুল ভাঙতেও অবশ্য বেশি সময় লাগেনি।

আরও পড়ুন: নেতাজির স্মৃতি আঁকড়ে পড়ে রয়েছে নীলকণ্ঠ নিবাস, ২৩ জানুয়ারি তার উৎসবের দিন

ব্যাপারটা কী? জামবনির জমিদার ডাঙ্গা গ্রামের পাশেই কংসাবতী নদীর ক্যানাল। সেই ক্যানাল থেকে আবার সাব ক্যানালের মারফত জল আনা হয় চাষের জমিতে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই সাব ক্যানালের লকগেটগুলি মেরামতির কাজ চলছিল। কিন্তু চাষের মরশুমে কংসাবতীর ক্যানাল বা জলাধার থেকে জল না ছেড়েও তো উপায় নেই! আগুপিছু না ভেবে বুধবার রাতে জলাধারের জল ছেড়ে দেন কর্মীরা। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। সাব ক্য়ানালের লকগেট খোলা থাকায় কার্যত ভেসে যায় জামবনির জমিদার ডাঙা গ্রাম। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেলা বাড়তে নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন কংসাবতী ক্যানালের কর্মীরা। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া মূল ক্যানালের লকগেটটি। ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে জল নামতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: ম্যারাথন দৌড়ের বিজয়ীকে সবুজ সাথীর সাইকেল, উপহার দেওয়া নিয়ে বিতর্ক

কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? কংসাবতী ক্যানালের দায়িত্ব থাকা এক আধিকারিকের বক্তব্য, সাব ক্যানালের লকগেট যাঁরা মেরামত করছেন, তাঁদের সঙ্গে মূল ক্যানালের কর্মীদের যোগাযোগ ছিল না। তারজেরে এমন বিপত্তি ঘটেছে।  বিষয়টি নজরে আসার পরেই দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।