সংক্ষিপ্ত
- তিন বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল
- রেলকর্মীরা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন
- কিন্তু কে এইভাবে অত্যাচার করল তা এখনও জানা যায়নি
- ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে
তিন বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল, এবার শিয়ালদহ স্টেশন চত্ত্বরে। শুক্রবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করার পর নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি তাঁকে করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, বাচ্চাটিকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ায় দরুন শিশুকে সার্জারি বিভাগের অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। শিয়ালদহ-এর রেল পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন যে,যৌন নির্যাতনের একটি অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এবং তারই ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, হাড় কাঁপানো শীতে কাবু কলকাতা, তাপমাত্রা আজও স্বাভাবিকের থেকে নীচে
ওই শিশুটির বাবা জানান, তাঁরা গত ছমাস ধরে শিয়ালদহ স্টেশনেই থাকছেন। ট্রেনে পার্সেল ওঠানো-নামানোর কাজ করেন তিনি । শুক্রবার রাতে সেখানেই তাঁর ছেলে ও মেয়েকে স্ত্রীর কাছে রেখে তিনি পার্সেলের কাজে বেরিয়ে যান। রাত ১১টা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন, স্ত্রী কান্নাকাটি করছেন। জানতে পারেন,তাদের মেয়ে স্টেশন চত্ত্বরেই খেলছিল, কিন্তু তারপর আর সে ফিরে আসেনি। শিশুটির বাবা আরও জানান, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচুর খোজার পরও তিনি মেয়েকে পাননি। সারারাত আতঙ্ক আর চিন্তায় ছটফট করেছেন তারা। উল্লেখ্য়, তিনি আরও জানিয়েছেন, তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁর মেজো ছেলেটাও এই শিয়ালদহ স্টেশনের ভিতর থেকেই একদিন নিখোঁজ হয়ে যায়। আজও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন, জাঁকিয়ে শীতে মিলছে খেজুর রস, নলেন গুড়ে মজেছেন কলকাতাবাসী
অপরদিকে শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় কর্মরত রেলকর্মীরা আশেপাশেই একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ পান। ট্রেনের কামরার ছাদে উঠে টর্চ নিয়ে খুঁজতে থাকেন তাঁরা। হঠাৎ-ই লাইনের পাশে অন্ধকারে একটি শিশুকে বসে কাঁদতে দেখেন। রেলকর্মীরা বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে শিয়ালদহ স্টেশনের চাইল্ড লাইনে খবর দেন। শুক্রবার রাতেই নীলরতনে ভর্তি করার সময়ে তার পরিচয় না জানার ফলে, অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই ভর্তি করা হয় ওই শিশুটিকে। তারপর আজ সকালে শিশুটির পরিবার জানতে পেরেছেন, শিশুটিকে রেল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শিশুটিকে কে এ ভাবে অত্যাচার করল এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে তদন্ত।