সংক্ষিপ্ত
- শহরের বুকে ভেজাল পোস্ত কারখানার পর্দা ফাঁস
- প্রচুর ভেজাল পোস্ত ও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে
- সুজি ও পাখির খাবার মিশিয়ে অবিকল পোস্ত বানানো হত
- এরপর প্য়াকেটের গায়ে লেখা হত 'নকল হইতে সাবধান'
শহরে ভেজাল পোস্ত কারখানার পর্দা ফাঁস। সূত্রের খবর, পোস্তার ৮বি বরোদা ঠাকুর লেনে ভেজাল পোস্ত কারখানায় অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। আর সেই কারখানা থেকে প্রচুর ভেজাল পোস্ত এবং সেটি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ছাত্রদের দাবিতে উত্তাল প্রেসিডেন্সি, ৩০ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর মুখ খুললেন উপাচার্য
সূত্রে খবর, বুধবার ইবি অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ পোস্তার ৮বি বরোদা ঠাকুর লেনে ওই কারখানায় হানা দিয়ে প্রচুর ভেজাল পোস্ত ও তা তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। ইবি পোস্ত ভেজাল করার পর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে পাইকারি ও খুচরো বাজারে বিক্রি করা হত। ওই কারখানায় হানা দিয়ে কর্মীদের দফায় দফায় জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন ইবি অফিসারেরা। আরও জানা গিয়েছে, কম দামে পোস্ত কিনে তা ভেজাল করা হত। প্রথমে সুজি ভেজে নিয়ে আসল পোস্তর মতো রং আনা হত। তারপর পাখির খাবারের দানা ভাঙিয়ে পোস্তর মত অবিকল আকার দেওয়া হত। এরপর সমপরিমাণ পোস্তর মধ্যে মেশানো হত ভাজা সুজি ও পাখির খাবারের গুঁড়ো। এরপর চলত আরও শিল্পীর তুলির শেষ টান। যাতে বোঝা না যায়, সব উপকরণ মেশিনে ভালো করে মিশিয়ে নেওয়া হত। তারপর প্রতিটা প্য়াকেটের গায়ে লেখা হত 'নকল হইতে সাবধান।'
আরও পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গে পাততাড়ি গোটাচ্ছে শীত, আগামী ৭২ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি
ইবি সূত্রে খবর, ওই ভেজাল পোস্ত কারখানার একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃত কুশল গোয়েল হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ কেজি ভেজাল পোস্ত দানা, ১০০ কেজি পাখির খাবারের দানা, ২০০ কেজি সুজি, ৩০ কেজি ফ্রেশ পোস্ত দানা। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন মালমশলা। যার বাজার দর কয়েক লক্ষ টাকা। এছাড়াও মিলেছে বিভিন্ন ব্য়ান্ড্রের প্য়াকেট ও প্য়াকেজিং মেশিন। সব কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ-র ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন ন, বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।