সংক্ষিপ্ত
সিবিআই দফতরে ফের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। রাতে বাড়ি ফিরে গিয়ে ফের পুরোনো ছবিই ফিরল শুক্রবার। এদিন ফের চিনার পার্কের বাড়ি থেকে সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণ ব্লকে গেলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
সিবিআই দফতরে ফের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। রাতে বাড়ি ফিরে গিয়ে ফের পুরোনো ছবিই ফিরল শুক্রবার। এদিন ফের চিনার পার্কের বাড়ি থেকে সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণ ব্লকে গেলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন কেষ্ট। তারপর ফিরে চিনারপার্কের নিজের বাড়িতে রাতে থাকেন। এদিকে শুক্রবার বেলা পেরোতেই দুপুর ১২ টা ৫০ নাগাদ পৌঁছে যান এসএসকেম-এ। সেখানে উডবার্নে ঢোকেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, গত মাসেও এক বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতোই এদিন সিবিআই দফতরে হাজির হন কেষ্ট। যদিও তাঁকে সিবিআই দফতরে আসার সময় তাঁকে, বুকে হাত দেওয়া এবং কাঁধে ভর দেওয়া অবস্থায় আসতে দেখা যায়। গরুপাচার মামলা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা সিবিআই একাধিকবার তলব করলেও অসুস্থ সহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। শেষবার তিনি সিবিআই-র মুখোমুখি হন। এরপর ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসতেই ফের সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'হয় অনুব্রতকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে নয়তো জেলে। অনুব্রত জেলে থাকলে ঠিক আছে। নিরাপদে থাকবেন। হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অনুব্রত অনেক মামলায় অভিযুক্ত। একটা চাবি হারিয়ে ফেললেই হল। তাই তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য ওকে মেরে ফেলা হতে পারে।' তবে দিলীপ ঘোষই নন, এর আগে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন বিজেপির বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, 'আমার মনে হয় অনুব্রত মণ্ডল ফিরতে পারবেন না।ফিরলেই ওনাকে সিবিআই-র কাছে যেতে হবে। আর ওখানে গেলে সবার সব কিছু ফাঁস হয়ে যাবে। আমার মনে হয় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইনজেকশনে উডবার্ণ ওয়ার্ডেই মরতে হবে ওনাকে।'
আরও পড়ুন, 'লড়াই জারি রাখো', মাধ্যমিকে কৃতিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অসফলদের অভয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এরপর ফের চিনারপার্কের বাড়ি ফিরে,আইনজীবী মারফত সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানান, আপাততত অনুব্রত মণ্ডলকে ১৫ দিনের বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। সেই কারণে তিনি একদিন হাজিরা দিতে পারছেন না। কিন্তু তাতেও গলেনি মোম।ফের ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই দফতরে কেষ্টকে তলব করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজাম প্যালেসে যাননি।সেদিনও ফের সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যান কেষ্ট। তবে এবার আর এড়াতে পারেননি। এবিষয়ে তৃণমূলের কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন,'এটা আইনি প্রক্রিয়া। এনিয়ে দলের কিছু বলার নেই। তবে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতারা বহু এলাকায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। কোনও কোনও জায়গায় আদি ও নব্য বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও মারামারি হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে রাগ মেটানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।'
আরও পড়ুন, 'কেকে-কে হত্যা করা হয়েছে, অপরাধ বোধে গান স্যালুট দিয়েছে সরকার', বিস্ফোরক দিলীপ