সংক্ষিপ্ত
- রাতে ঘুম না-এলে সারাদিনের কাজ মাটি হয়ে যায়
- ঘুম না-এলেই আমরা ভাবি ইনসোমনিয়া
- আর সেইসঙ্গে কথায়-কথায় ঘুমের ওষুধ কিনে খেয়ে নিই
- কিন্তু অন্য় অনেক কারণে ঘুম আসে না, সেগুলো জেনে নেওয়া দরকার
ঘুম না-আসার সমস্য়া যেন এখন ঘরে ঘরে। আর ঠিক মতো ঘুম না-হওয়া অনেক সমস্য়া তৈরি করে। ঘুম না-হলে সারাদিন হাই ওঠে। কাজে মন বসে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। মাথার যন্ত্রণা করে। কাজে মনযোগ দেওয়া যায় না। আর, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্য়া আছে, তাঁদের সমস্য়া আরও বাড়তে পারে।
তাই জেনে নেওয়া দরকার, কেন আমাদের ঘুমের সমস্য়া দেখা দেয়। তবেই আমরা এর মোকাবিলা করতে পারি।
প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, ঘুম না-আসা মানেই কিন্তু ইনসোমনিয়া নয়। এর পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ।
হতে পারে আপনার মধ্য়ে প্রচ্ছন্ন অবসাদ কাজ করছে। আর তা থেকেই আপনার ঘুম আসছে না। স্ট্রেস থাকলে যেমন ঘুমের বারোটা বাজে, তেমন অবসাদেও কিন্তু ভালভাবে ঘুম আসে না। তাই সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছুদিন দেখতে হবে যে, অবসাদের বাকি লক্ষণগুলো আপনার মধ্য়ে রয়েছে কিনা। যেমন, আগের যা-যা জিনিস ভালো লাগতো তা-তা আর ভাল লাগে না এখন। মন সবসময়ে খারাপ হয়ে থাকে। মাঝেমধ্য়েই কান্না পায়। খিদে কমে যায় বা খুব বেড়ে যায়।
আগেই বলেছি, স্ট্রেস থাকলেও ঘুমের ব্য়াঘাত ঘটতে পারে। অফিসের চাপ বাড়ি বয়ে আনলে স্ট্রেস অবধারিত। অনেক সময়ে অন্য় দুশ্চিন্তাও থাকে। আর তার থেকেই রাতে ঘুমের ব্য়াঘাত ঘটে। তাই স্ট্রেস বা টেনশন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে প্রাণায়াম করুন। তা সত্ত্বেও যদি ঘুম না-আসে, তাহলে একজন মনোবিদের পরামর্শ নিন। নিজে থেকেই যেন ঘুমের ওষুধ খেতে যাবেন না ভুলেও।
ঘুমের জন্য় একটা প্রস্তুতি দরকার। একটা পরিবেশ দরকার। যেমন ঘরের বড় আলোটা নিভিয়ে দেওয়া। সেইসঙ্গে হয়তো-বা পছন্দের কোনও গান বা নাটক শোনা। মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ একেবারে সরিয়ে নেওয়া। এইগুলো কিন্তু খুবই দরকার। ঘুম আসছে না দেখে আপনি রাত জেগে জেগে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্য়াপ করে গেলেন, তাতে করে ঘুম আরও চটে যাবে। তাই রাতে শোবার সময়ে ফোনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন।