সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার তিনদিনের সফরে গোয়ায় পা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, বাগডোগরা থেকে বিকেলের বিমানে পানাজি পৌঁছবেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী গোয়া সফরের দিকে তাঁকিয়ে সারা দেশ।
বৃহস্পতিবার (Thursday) তিনদিনের সফরে গোয়ায় পা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)। বাগডোগরা থেকে বিকেলের বিমানে পানাজি পৌঁছবেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী (WB CM) গোয়া সফরের (Goa) দিকে তাঁকিয়ে সারা দেশ। রাজনৈতিক ভাবেও এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
তিনদিনের এই সফরে গোয়ার বহু এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। দেখা করবেন গোয়ার বহু রাজনৈতিক এবং সাংষ্কৃতিক ব্যাক্তিত্বের সঙ্গে। সূত্রের কখবর, একটি বিরাট মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে গোয়ায় তৃণমূলের তরফে। চা চক্র থেকে মধ্যাহ্নভোজ দফায় দফায় তৃণমূল সুপ্রিমো কাদের সঙ্গে দেখা করবেন, এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সেখানে নির্বাচন রয়েছে। আর সেই কারণে লক্ষ্য স্থির করে গোয়ার দিকে তাঁকে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূলও । বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এখন ত্রিপুরা (Tripura) ও অসমের (Assam) পাশাপাশি তাদের পাখির চোখ গোয়াও। ওই অঙ্গরাজ্য জয়ের লক্ষ্যে এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফর শেষ করেই ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গোয়ায় পাড়ি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফিরবেন ৩১ অক্টোবর। সম্প্রতি মমতা বলেন, '২৮ অক্টোবর প্রথমবার গোয়া সফরের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিজেপিকে হারাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সব ব্যক্তিত্ব, সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি। গত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হলে নতুন সরকার গঠিত হবে। যা গোয়ায় এক নতুন ভোর নিয়ে আসবে। নতুন সরকার মানুষের সরকার হোক, মানুষের সমস্যা বুঝুক এটাই কাম্য।'
এদিকে গোয়া নিয়ে কটুক্তি করতে ছাড়েনি বিজেপি। গোয়ার গুরুদায়িত্ব এবার বাবুল সুপ্রিয়র উপরে। যার জন্য ইতিমধ্যে সেখানে পৌছে গিয়েছেন। এদিকে এবিষয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'গোয়া যেন টালিগঞ্জ না হয়ে যায়।' কিন্তু এতো গেল পুরোনো সংঘাতের দলবদলের পরেও ধারাবাহিকতা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সর্বপরী গোয়া নিয়ে বেশ স্বস্তিতেই তৃণমূল কংগ্রেস। বরং চাপ বেড়েছে বিরোধীদের। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগদান করেছিন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীন রাজনীতিবিদ লুইজিনহো ফালেইরো (Luizinho Faleiro)। তাঁকে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদে বসিয়েছেন। সূত্রের খবর বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে সামনে রেখেই ঘুঁটি সাজাতে চাইছে তৃণমূল। ঘাসফুলের এই শক্তিবৃদ্ধিতে যথেষ্ট চিন্তুতি বিজেপি। কারণ তৃণমূল গোয়ার রাজনীতিতে প্রবেশের আগে বিধানসভা দখল অনেকটাই সহজ ছিল বিজেপির কাছে। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে গোয়ার ফরওয়ার্ড পার্টিও তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে বলে সূত্রের খবর। এই দলের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শুরু করে দিয়েছেন। তাই সব মিলিয়ে গোয়াতে ভোটের আগে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে